ঢাবি এলামনাইয়ের বনভোজন ও মিলনমেলা
নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের সাউথ হ্যাভেন (ঝড়ঁঃযযধাবহ চধৎশ) পার্কে গত ২৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মিলন মেলায় নিউইয়র্ক, নিউজার্সী ও কানেকটিকাটের বহু এলামনাই প্রাণের টানে জড়ো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরিবার পরিজনসহ উপস্থিত হয়ে অতীতের স্মৃতির রোমন্থনসহ আনন্দে মেতে উঠেন।
সংগঠনের সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলির উদ্বোধন ঘোষণার পর পরই শুরু হয় বনভোজনের বিভিন্ন কার্যক্রম। এরপর শুরু হয় খেলাধুলার পর্ব:-খেলাধুলার এই পর্বটি পরিচালনা করেন বনভোজন উপ-কমিটির আহ্বায়ক গোলাম সোস্তফা ও সদস্য সচিব মো: ইউসুফ।
খেলাধুলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আবুল কাসেম, হারুনুর রশিদ ও আবুল কে আজাদ। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন তাজুল ইসলাম, গাজী সামসউদ্দীন, স্বপন বড়–য়া, এম.এস.আলম. রুহুল সরকার ও মোহাম্মদ হোসেন খান। খেলাধুলায় বালক তৃতীয় থেকে ষষ্ট গ্রেডের দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন ইব্রাহিম তাসিন, দ্বিতীয় ইব্রাহিম হোসেন, তৃতীয় মো: হাসিন ও চতুর্থ তাসমিয়া ইসলাম। বালিকাদের দৌড়ে তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেনী প্রথম হন রাইয়ানা, দ্বিতীয় মেহরীন আমীন, তৃতীয় আরবি আজাদ।
বালকদের দৌড়: ৭ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেড প্রথম হয়েছেন আবরাব, দ্বিতীয় আরিয়ান, তৃতীয় উজাউর।
বালিকাদের দৌড়: ১০ম গ্রেড থেকে কলেজ: প্রথম হয়েছেন রোজ, দ্বিতীয় লাবিবা, তৃতীয় রেফাত।
বালকদের দৌড় -১০ম গ্রেড থেকে কলেজ, প্রথম : ফারদীন আজাদ, দ্বিতীয় আরিফ, তৃতীয় ফাহিম।
পুরুষদের দৌ: প্রথম হয়েছেন মোম্মদ হোসেন খান, দ্বিতীয় নিক্সন, তৃতীয় আজাদ কে. আবুল।
মহিলাদের বল নিক্ষেপ: প্রথম হয়েছেন ইয়াসমিন হাবিব, দ্বিতীয় হয়েছেন রাফিজা, তৃতীয় হয়েছেন অনন্যা। পুরুষদের বল নিক্ষেপ: প্রথম হয়েছেন : আবুল কে আজাদ, দ্বিতীয় উজায়ের, তৃতীয়: আবরাব।
মহিলাদের মিউজিক্যাল বল নিক্ষেপ: প্রথম হয়েছে মেরিন, দ্বিতীয় হয়েছেন সাকিনা, তৃতীয় হয়েছেন: ফরিদা ইয়াসমিন।
খাবার পরিবেশনে সহযোগিতা করেন এলামনাইর কর্মকর্তা: আব্দুস সালাম, এম.এস.আলম, ইউসুফ, রুহুল, তাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সুন্দর আবহাওয়ার পড়ন্ত বিকেলে শুরু হয় এলামনাইদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলির সভাপতিত্বে স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসউদ্দীন। এই পর্বে স্মৃতিচারণ করেন মোল্লা মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ হোসেন খান, তাজুল ইসলাম, স্বপন বড়–য়া, আজাদ কে তালুকদার, ফকরুল আলমসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাবেক এলামনাই।
স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভার পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বনভোজন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা। তাকে সহযোগিতা করেন সদস্য সচিব মো: ইউসুফ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নূপুর চৌধূরী। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিজয়ীদরে হাতে পুরস্কার তুলেছেন।
পুরস্কার বিতরণের পরপরই শুরু হয় বহু প্রত্যাশিত র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান। এই পর্বটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ হোসেন খান ও তাকে সহযোগিতা করেন গাজী সামসউদ্দীন ও তাজুল ইসলাম।
র্যাফেল ড্র এর প্রথম পুরস্কার নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক এই পুরস্কারটি প্রতিবারের মত এবারও স্পন্সর করেন এটর্নী মঈন চৌধুরী, আর ভাগ্যবান বিজয় হলেন-আরিয়ান। দ্বিতীয় পুরস্কার স্মার্ট টিভি ৬০”, যা স্পন্সর করেন ডা: চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান এবং বিজয়ী হলেন তিনি নিজেই। তৃতীয় পুরস্কার এল.জি ৬০” টিভি, স্পন্সর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ছাত্রী মাকসুদা বেগম মীনা। চতুর্থ পুরস্কার স্পন্সর করেন আহসান হাবীব। এছাড়াও যারা অন্যান্য পুরস্কার স্পন্সর করেন তারা হলেন: রুহুল আমিন সরকার, পরিশ সাহা, মোরশেদা জামান, ডা: আব্দুল্লাহ এবং বিশেষ পুরস্কার আইফোন ১১ স্পন্সর করেন এম.এস.আলম। অন্যান্য র্যাফেল ড্র তে বিজয়ীরা হলেন মোল্লা মুনিরুজ্জামান, মোরশেদা জামান বিপুল, করবী বড়–য়া, আরিয়ান।
সর্বোচ্চ র্যাফেল ড্র’র কুপন বিক্রেতা হিসাবে পুরস্কারটি দখল করেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূপুর চৌধুরী।
পুরস্কার বিতরণের পর সভাপতি সাঈদা আক্তার লিলি ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসউদ্দীনের ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।