ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটিতে কমতে যাচ্ছে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা। পূর্বের গতিসীমা ২৫ মাইল থেকে কমিয়ে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ মাইল করে বিল পাসের ঘোষণা দিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল। এ বিষয়ে গভর্নরের যুক্তি, যানবাহনের গতিসীমা কমিয়ে আনলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারায় ১২ বছর বয়সী স্যামী। সিটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা কমিয়ে আনতে তার নামে স্যামি’স ল নামের এ বিলটি পাশ করা হবে বলে জানায় গভর্ণর অফিস। যে আইনের ফলে নিউ ইয়র্কে ড্রাইভিং গতি সীমা ২৫ থেকে ২০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় কমাতে পারে।
আইন প্রণেতারা বলছেন, স্যামির মৃত্যুর পর থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৬ শিশুসহ ২ হাজরেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। যার প্রধান কারণ হিসেবে গাড়ির অতিরিক্ত গতিকে দায়ী করছেন তারা। যার ফলে স্যামি'স ল পাশ করতে সম্মত আইন প্রণেতারাও। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামসও এ বিলের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গাড়ির গতি কমিয়ে ২০ করার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন ফ্যামিলি ফর সেফ স্ট্রিটস নামের একটি সংগঠন। তাদের মতে, গাড়ি দুর্ঘটনায় ১৭ বছর বা তার কম বয়সী ১১০ জন শিশু মারা গেছে। তারা জানায়, ঘন্টায় ২৫ মাইল বেগে চলা গাড়ি কোন মানুষকে আঘাত করলে তার গুরুতর আহত এমনকি মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক। সমীক্ষায় দেখা গেছে, আনুমানিক ৩০ শতাংশ পথচারী ঘন্টায় ২৫ মাইল বেগে চলা যানবাহন দ্বারা আঘাত পেলে গুরুতর আহত হবে এবং প্রায় ১২ শতাংশ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এদিকে অনেক চালক এ বিলের বিরোধিতা করে বলছেন, কিছু এলাকার ক্ষেত্রে এ গতি ঠিক থাকলেও সব জায়গায় ধীর গতিতে গাড়ি চালানো রীতিমতো বিরক্তিকর। যেসব এলাকা অধিক জনবহুল সেসব এলাকায় গতি কমিয়ে অন্য এলাকায় গতি বাড়ানোর দাবিও জানান অনেকে।