ছবি: সংগৃহীত
কেউ যদি বধির হন কিংবা কানে কম শোনেন সে কথা আলাদা, অথবা কোন স্থানে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন যেখানে জোরে কথা বলা ছাড়া উপায় নেই, এসবের বাইরে যখন কেউ অযথাই চেঁচিয়ে কথা বলতে থাকেন সেটা এক কথায় অশোভন বা ভদ্রোচিত বিষয় নয়। সেটা হোক এমনি কথা বলা কিংবা ফোনে কথা বলা।
সবার জীবনই এখন অনেক ব্যস্ত। ছুটতে হয় দিগিবিদিক। বড্ড অস্থির চারিদিক। কত ধরনের যান্ত্রিক শব্দ। তার উপর যদি আমরাও অযথাই চেঁচাতে থাকি তবে পরিবেশটা কেমন তেঁতিয়ে ওঠে ভাবুন! কার এসব ভালো লাগে?
কিন্তু আমরা অনেকেই এই ছোট্ট বিষয়াদি ভাবি না। অনেককে দেখি ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন, তখন পাশের জনের সাথে বা টেলিফোনে সজোরে কথা বলছে। ট্রেনে-বাসে চলেছেন, দেখবেন পাশে বসে একজন বকবক করছে। গ্রোসারিতে-রেস্টুরেন্টে এমন চিত্র হামেশাই দেখবেন। এসব কিন্তু সবাই করেন না। অনেকেই সচেতন নিজের বা অন্যদের বিষয়ে।
কিন্তু আমাদের চারপাশে কিছু অবুঝ বা নির্বোধ মানুষ আছেন, যারা কোন কিছুর ভ্রুক্ষেপ না করে এই জোরে বা চেঁচিয়ে কথা বলা চালিয়ে যান। আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের প্রতি ওই শব্দ দূষণকারীর কোনরূপ শ্রদ্ধা বা মায়া-মমতা নেই। আপনি তাকে শোধরাতে গেলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এই নির্বোধ মানুষগুলোর জন্য করুণা হয় বৈকি! তাই জন্য এদেশের স্কুল গুলোতে বাচ্চাদের শিক্ষার পাশাপাশি গুড ম্যানারসও শেখানো হয়।
অনেকে আছেন যারা দেখবেন উচ্চস্বরে টেলিফোনে কথা বলছেন, অন্যের সাথে আর কৌশলে বাহাদুরি ফলাচ্ছেন তার আশেপাশের মানুষদের মাঝে। কথার মাঝে উকিল মোক্তার মেরে অন্যদের বোঝাচ্ছেন তিনি জো বাইডেন এর আত্মীয়। সে যে কত বড় আহাম্মক এটা তার বোধে আসেনা। সভা সমিতি বা যে কোন অনুষ্ঠানে গেলেও এমন কিছু মুড়ির টিন, লাউড স্পিকার বা শূন্য কলসির ঝনঝনানি দেখবেন, যাদের অযাচিত বকবকানি পরিবেশটা নিমিষেই বিষময় করে তোলে। এদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, এরা পরিবেশ বান্ধব হয়ে উঠুক, এই কামনা করি।
পাশাপাশি আমরাও সবাই যেন অন্যের জন্য সহনীয় হয়ে উঠি। যেন এ বিষয়টি ভুলে না যাই আমি যা করছি সেটা আরেকজনের জন্য বিরক্তি বা ক্ষতির কারণও হতে পারে। আমরা সবাই যেনো অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। এতে করেই আমাদের সবার চারপাশ বা আমাদের সবার পৃথিবী হয়ে উঠবে স্বস্তি আর শান্তিময়।
লেখক: অভিনেতা।