
ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কর্মস্থলে হানা দেওয়ার ফলে নিয়োগকারীরা শ্রমিক স্বল্পতার কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এক নতুন জরিপে এই তথ্য জানা গেছে।
অনেকেই বলছেন, এই অভিযানের ফলে আর্থ-সামাজিক খাতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
তাদের মতে, অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা হলে বিশেষ করে গৃহ নির্মাণ, ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকা বয়স্ক লোকদের পরিচর্যা, খামার ও মাংস-প্যাকিং প্লান্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী খাতে শ্রমিকের সংকট দেখা দেবে।
আর এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর দীর্ঘ মেয়াদি মন্থরতার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
নিয়োকারী আইনি প্রতিষ্ঠান লিটারের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ নির্বাহী জানিয়েছে, প্রশাসনের অভিবাসন নীতি তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
জরিপে দেখা যায়, ৭০ শতাংশ নির্বাহী জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে অভিবাসনবিরোধী নীতি কার্যকর করা হলে আগামী ১২ মাসে কর্মস্থলে বড় বা মাঝারি ধরনের প্রভাব পড়বে।
আর ৫৮ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োজিত রাখা কঠিন হবে। ম্যানুফেকচারিং ও হসপিটালিটি-সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো আরো বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত জরিপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪৯ জন নির্বাহী অংশ নেন। এসব প্রতিষ্ঠানের তিন-চতুর্থাংশে এক হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড গ্লোবাল মবিলিটি প্রাকটিস গ্রুপের চেয়ারম্যান জর্জ লোপেজ বলেন, ‘আমাদের মক্কেলদের মধ্যে ভয়াবহ উদ্বেগ দেখে আমি হতবাক।’