শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

অনেকে প্রতি সপ্তাহে ১৮ ঘণ্টার বেশি সময় দেন 

সোশ্যাল মিডিয়া গিলে খাচ্ছে মার্কিনীদের বছরের ৩৪ দিন!

খাইরুল ইসলাম পাখি

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১৭ মে ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়া গিলে খাচ্ছে মার্কিনীদের বছরের ৩৪ দিন!

ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সকল সার্ভে, ডাটা বা সমীক্ষা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ প্রতিদিন গড়ে কম-বেশি ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে, যা কিনা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের তুলনায় দৈনিক ১০ মিনিট করে বেশি।

তাহলে প্রতি সপ্তাহে ১৮ ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে থাকছে আমেরিকানরা। এ হিসেবে বছরে ৮০০ ঘণ্টার বেশি এবং দিন হিসেবে সেটা বছরে ৩৪ দিনের মতো অর্থাৎ একজন আমেরিকান বছরে এক মাসের বেশি সময় ব্যয় করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি ভয়াবহ। কারণ এই সময় ব্যয়ে লাভ হয় যতটা ক্ষতির পরিমাণ তার চেয়েও বহুগুণ। আর এ কথা প্রতিটি সচেতন মানুষের মনে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছে।
এক্সপার্টরা বলছেন যে, মানুষের চোখ, মস্তিষ্ক তথা নানারূপ স্বাস্থ্যগত ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের অস্থিরতাও বাড়ছে দিনকে দিন। কেউ কেউ একে সামাজিক বা সময়ের ব্যাধি বলেও আখ্যায়িত করছেন। তারা বলছেন, এভাবে চলছে বলেই মানুষের দেহ বা মন অনেক সময় অসুস্থ থাকছে এবং ক্রমাগত মানুষ চিন্তা কিংবা আবিষ্কারের ক্ষমতা হারাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন জেনারেশন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মর্মান্তিকভাবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কিংবা পৃথিবীর ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলছে!
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা এমন এক আসক্তি যার থেকে আপনি আমি কিংবা আমাদের সন্তানরা কেউই মুক্ত নই। আনমনে বা নিজের অজান্তেই আমরা অবলীলায় ক্ষয় বা ব্যয় করছি কত শত মূল্যবান সময়।
ভাবলে স্পষ্ট হবে, এসব সময়ের কতটা সময় গঠনমূলক, তথ্যমূলক বা শিক্ষামূলক বিষয়াদির পেছনে ব্যয় হচ্ছে আর কতটা সময় সস্তা বিষয়াদি নিয়ে ঘাটাঘাটি করে। আর সে উত্তর মিলবে নিজের কাছেই।
অনেকে বলেন, নিজেকে বিনোদিত করতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচরণ করেন। এ কথা অনেকেই বললেও সবারই বিনোদনের প্রয়োজন আছে বলে মনের করেন না বিশ্লেষকরা! তারা শুধু অতিরিক্ত ব্যবহার কিংবা অপব্যবহারের কথাটাই বলবার চেষ্টা করছে। কেননা বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ামগুলো ছাড়া জগৎ অচল। এসব ছাড়া চলছেও না।
তাই বলে এর ব্যবহারে কুশলী, মিতব্যয়ী কিংবা সচেতন হলে তবে ক্ষতির ভাগটা কমিয়ে আনা যাবে। তাতে লাভতো হবে সকলের। সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, সুস্থ সমাজ গঠন কিংবা একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে কে না চাই? তাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সুঘ্রাণ বা নির্যাসটা নেয়া যাবে আর বর্জ্য বা আবর্জনা পরিহার করে এবং পারলে নিজেদের আসক্তিও কমিয়ে আনা প্রয়োজন। কারণ ‘নেশার ঘোরে কে কবে সঠিক কাজটা করেছে’? 
 

শেয়ার করুন: