
ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের ওপর মেক্সিকো সীমান্তে টেক্সাস কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় পাচারকারীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর দিকে নজর দিয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মিডিয়াকে এই তথ্য দেন।
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে টেক্সাস কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নজরদারি বাড়ানো ছাড়াও আরো বেশি কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া, প্রতিবন্ধকতা স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এই পথে পাচার কঠিন হয়ে পড়েছে।
কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আগে যেখানে প্রতিদিন মেক্সিকো দিয়ে দুই থেকে তিন হাজার লোক টেক্সাসে প্রবেশ করত, এখন তা পাঁচে নেমে এসেছে।
তবে টেক্সাসের প্রয়াস সফল হলেও অভিবাসীরা থেকে মেনই। তারা অপরাধী চক্রগুলো এখন আরো পশ্চিম দিকের পথ দিয়ে প্রবেশের সুযোগ নিতে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল বর্ডার পেট্রোল কাউন্সিলের সান ডিয়েগো শাখার প্রেসিডেন্ট ম্যানি বায়ন মিডিয়াকে জানান, পাচারকারীরা এখন অ্যারিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের সান ডিয়েগো অংশে বুধবার সকালে প্রায় ২,৩০০ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২০ বছরের মধ্যে এখনই সান ডিয়েগো দিয়ে এত লোক অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এপ্রিল মাসে সেখনে ৩৭,৩৭০ জন অবৈধ লোকের দেখা পাওয়া যায়।
এপ্রিলে এক সপ্তাহে ৬৯টি দেশের ১০ হাজার অভিবাসীকে দেখা গেছে সান ডিয়েগো সেক্টরে।
সান ডিয়েগো কাউন্টি সুপারভাইজর জিম ডেসমন্ডের হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের পর সীমান্ত পেট্রোল এক লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে স্থানীয় রাস্তায় ছেড়েছে।
তিনি বলেন, টেক্সাস/মেক্সিকো সীমান্ত নিশ্চিত করার জন্য টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবট ‘অপারেশন লোন স্টার’ বাস্তবায়ন করছেন। এরপর ন্যাশনাল বর্ডার পেট্রোল কাউন্সিল অ্যারিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসীদের চলাচল ব্যাপকভাবে বাড়তে দেখেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় সুরক্ষা থাকায় সেখানে ঢলটি বেশি দেখা যাচ্ছে।