বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক

ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন  করার প্রবণতা বাড়ছে

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন  করার প্রবণতা বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

চীনা পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ১৪৫ শতাংশ শুল্ক এড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের অনেকের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের পর চীন থেকে মার্কিন ক্রয়াদেশ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। ট্রাম্প ১৬ এপ্রিল চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই জটিলতা এড়াতে অনেক আমদানিকারক এখন ভিন্ন দেশ দিয়ে চীনা পণ্য আমদানি করার চেষ্টা করছে। জানা গেছে, কানাডা ও মেক্সিকোর বন্দর দিয়ে তারা ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়েই পণ্য আমদানির চেষ্টা করছে।
সাংহাইভিত্তিক শিপিং পরামর্শক জন মনরো বলেন, ‘এখন লোকজন হিসাব-নিকাশ করে পণ্য খালাস করছে।’

চীন থেকে বড় বড় চালান আমদানির সাথে জড়িত প্রধান মার্কিন কোম্পানিগুলো এখন ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ভারতসহ অন্যান্য এশিয়ান দেশের দিকে ছুটছে। কারণ এসব দেশ এখন ৯০ দিনের জন্য বর্ধিত শুল্ক মওকুফ সুবিধা পাচ্ছে।
শিপিং কন্টেইনার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্ট্যাক্সনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জর্জ কোচানোস্কি বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ভিয়েতনাম বা মালয়েশিয়া দিয়ে পণ্য সরবরাহ করার কাজে সহায়তা করছে। আমদানিকারকদের সুবিধার জন্য চীনারা ওইসব দেশে গুদাম সুবিধা, দোভাষী ইত্যাদির ব্যবস্থা করছে। শুল্ক ফাঁকি দিতে এসব দেশে চীনা লেবেলও বদলে ফেলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেক আমদানিকারক আবার শুল্ক ফাঁকি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত বন্ডেড ওয়্যারহাউসগুলোতে পণ্য জমা করছে। তারা ঝুঁকি নিয়েও কাজটি করছে।
আবার অনেক শিপিং কোম্পানি পণ্যের দাম কমিয়ে শুল্ক সমন্বয়ের চেষ্টা করছে বলে মনরো জানিয়েছেন।
 

শেয়ার করুন: