
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি মালিকানাধীন রেলওয়ে সংস্থা আমট্রাক থেকে ১২ মিলিয়ন ডলার চুরি করার পরও অনেকে চাকরিতে বহাল রয়েছে বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে, ১১৯ ব্যক্তি ওই প্রতারণার সাথে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে ৬১ জন এখনো বেতনভুক্ত কর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল কেভিন এইচ উইন্টার্স বলেন, বিপুলসংখ্যক কর্মী এই তহবিল হাতিয়ে নেওয়ার কাজে জড়িত ছিল। তারা এখনো বহাল রয়েছে। এটি কেবল নৈতিকতার অধঃপতনই নয়, সেইসাথে কর্মপরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর।
প্রতারণার সাথে জড়িত বেশির ভাগ কর্মীই নিউইয়র্ক থেকে ডিসি অঞ্চলে রয়েছেন।
আমট্রাকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তারা ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, কর্মকর্তারা এখন তদারকি বাড়িয়েছেন। আর এসব ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমট্রাকের ডজনখানের কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সাতজনের বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, অন্য ২৮ জন হয় অবসর নিয়েছেন, কিংবা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া আরো ৩০ জন নানা কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে গেছেন।
জানা গেছে, ‘প্রশ্নবোধক বিলিং’ এবং চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়ে এসব কর্মী প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বাগিয়ে নিয়েছেন।