
ছবি: সংগৃহীত
ফেডারেল রিজার্ভ তার গুরুত্বপূর্ণ সুদ হার অপরিবর্তিত রেখেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঋণের খরচ কমানোর দাবি জানানো সত্ত্বেও বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার ঝুঁকি থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফেড টানা তৃতীয় বৈঠকে সুদের হার ৪.৩ শতাংশ রাখল। এর আগে গত বছরের শেষ দিকে তারা টানা তিনবার সুদের হার কমিয়েছিল। অনেক অর্থনীতিবিদ এবং ওয়াল স্ট্রিট বিনিয়োগকারী এখনো আশা করছেন যে চলতি বছর দুই থেকে তিনবার সুদের হার কমাবে ফেড।
অবশ্য ট্রাম্প বিপুল কর আরোপ করায় মার্কিন অর্থনীতি এবং ফেডের নীতির ওপর বড় ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তারা সুদের হারের ব্যাপারে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে সরে আসে।
পণ্যের দাম বাড়া এবং বেকারত্ব আরো বাড়ার ঝুঁকির কথা ফেড কর্তৃপক্ষ সাধারণত প্রকাশ করে না। কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্পের বিপুল করারোপের কারণে তারা এমনটা বলতে বাধ্য হয়েছে।
আমদানি কর বাড়ানোর ফলে পণ্যসামগ্রী আরো বেশি ব্যয়বহুল হবে। আর কোম্পানিগুলোর ব্যয় বাড়ার কারণে তারা চাকরি কমাতে পারে। এর জের ধরে বেকারত্ব বাড়তে পারে।
এমন প্রেক্ষাপটে ফেড পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং চাকরি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার লক্ষ্য স্থির করেছে।
এ ব্যাপারে ফেড কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের করারোপের ফলে কী হয়, তা নিয়ে তারা ‘অপেক্ষা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ট্রাম্প গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০টি বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর বিপুল পরিমাণে করারোপ করার কথা ঘোষণা করেন। তবে পরে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে ব্যতিক্রম রাখা হয় চীনকে। চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ করারোপ করা হয়।
তবে ফেডের এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে তাদের আরো বেশি সঙ্ঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য, রোববার এক টিভি সাক্ষাতকারে ট্রাম্প সুদের হার কমানোর জন্য ফেডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ফেড কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশ পালন করেনি।