
ফাইল ছবি
গভর্নর ক্যাথি হোকুল বুধবার হোয়াইট হাউস সফর করলেও নিউইয়র্কের অবনতিশীল অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে কথা বলতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করেননি। এম্পায়ার এস্টেটট নেতা বাইডেনের সাথে সাক্ষাত না করে প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ জেফ জিয়েন্টকের সাথে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বাইডেনের বৈঠক করার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা হয় এই বৈঠক।
অথচ ধারণা করা হচ্ছিল যে বাইডেনের সাথে হোকুল নিউইয়র্কে অভিবাসীদের ঢল নিয়েই প্রধানত কথা বলবেন। কিন্তু তিনি ওই পথে হাঁটেননি। আর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র।
তবে ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতারা আশা করেছেন যে হোকুল রাজনীতি পরিহার করে কাজ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বিওম্যান জেনিফার রাজকুমার বলেন, ‘গভর্নর হোকুলের উচিত হবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলা যে আমরা এখন একটি নির্বাচনী চক্রের মধ্যে থাকায় অভিবাসী সঙ্কটে নিস্ক্রিয় থাকার কোনো অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কেউ চায় না যে আমাদের নেতা ¯্রফে নির্বাচনী বছর বলে দূরে বসে থাকবেন এবং কিছুই করবেন না। কাউকে এমন কাজ করার জন্য ভোট দেওয়া হয়নি।’
আরেক সদস্য স্টেট সিনেটর জেসিকা স্কারলেসা-স্পানটন এটাকে ‘প্রতিটি পর্যায়ে ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের আইনপ্রণেতা আরো বলেন, ‘ফেডারেল সরকার সকল উদ্বিগ্ন নাগরিকের আবদেন শুনতেন, এমনটাই হওয়ার কথা। তারা এই সঙ্কট সুরাহার ব্যবস্থা নেবেন- এমনটাই সময়ের দাবি।’
নিউইয়র্কের অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে হোকুল ব্লেম গেম শুরু করার এক সপ্তাহ পর ওয়াশিংটন ডিসিতে তার এই সফর হলো। তিনি বলেছিলেন, আশ্রয়প্রার্থীদের ঢলের মালিকানা হোয়াইট হাউসের গ্রহণ করা উচিত।
গত সপ্তাহে আলবানিতে এক বক্তৃতায় হোকুল বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এই যে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনো বড় ধরনের সহায়তা পাওয়া যায়নি।’
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস কয়েকবারই বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে সহায়তার জন্য ফেডারেল সরকারের তেমন সাড়া না দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ২০২২ সালের বসন্ত থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে এক লাখের বেশি অভিবাসী এসেছে। তাদের জন্য ব্যয় বেড়ে ২০২৫ সাল নাগাদ ১২ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিবাসীদের সামাল দেওয়া নিয়ে মেয়র ও গভর্নরের মধ্যে দোষারোপের খেলা চলছে।