
ফাইল ছবি
প্যান্ডেমিকের কারণে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া হোম অফিসের অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা। মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। জেএলএল নামের একটি প্রপার্টি সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ করা উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে প্যান্ডেমিকপূর্ব সময়ের তুলনায় এখন ৪০- ৬০ ভাগ কর্মী তাদের দায়িত্ব পালনে অফিসে আসছেন। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে এই হার ৭০- ৯০ ভাগের মধ্যে ওঠানামা করছে। আর এশিয়ায় এই হার ছিলো ৮০-১১০ভাগ অর্থাৎ এশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানে অফিসে আসা কর্মীর সংখ্যা প্যান্ডেমিকপূর্ব সময়ের তুলনায় এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক শহরগুলোর মধ্যেও অফিসে আসা কর্মীর অনুপাতে পিছিয়ে আছে নিউইয়র্ক সিটি।
২০২১ এর তুলনায় ২০২২ সালে প্যারিস, সিউল বা টোকিও’র মতো আন্তর্জাতিক শহরগুলোয় ৭৫ ভাগ কর্মী অফিসে এসেছেন। একই সময় ম্যানহাটানে অফিসে আসা কর্মীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৫০ ভাগ। বিশ্লেষকদের মতে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মীদের মধ্যে অফিসে আসার এই অনীহার প্রথম কারণ ন্যাশনাল লেবার মার্কেটে স্থিতিশীলতা। লেবার ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী দেশে বেকারত্বের হার মাত্র ৩.৪ শতাংশ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোয় বাসা থেকে অফিস পর্যন্ত যাতায়াতেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি সময় লাগে। যা অফিসে আসার আগ্রহ কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের চালানো গবেষণা অনুযায়ী, নিউইয়র্কে একজন কর্মীর বাসা থেকে অফিস পর্যন্ত যেতে গড়ে ৫৮ মিনিট সময় লাগে। প্যারিস ও হংকং শহরে এর পরিমাণ যথাক্রমে ৫২ এবং ৪৪ মিনিট।