রোববার, ১১ মে ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারের লটারি জিতলেন

নবযুগ ডেস্ক 

প্রকাশিত: ২২:১০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারের লটারি জিতলেন

ফাইল ছবি

মাত্র বছরখানেক আগে তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারের লটারি জিতেছিলেন। চলতি সপ্তাহে আবার তিনি ভাগ্যবান হিসেবে বিবেচিত হযেছেন। গত বছর ওয়েন মারে নামের ব্যক্তিটি নিউইয়র্ক লটারির ব্ল্যাক টাইটানিয়াম গেমে জিতেছিলেন। এবার তিনি নিউইয়র্ক লটারির ২০০এক্স স্ক্র্যাচ-অফ গেমে বাজিমাত করেছেন সর্বোচ্চ পুরস্কারটি পেয়ে। উভয় খেলায় ব্যয় হয়েছে ৩০ ডলার করে।

দারুণ এই কৃতিত্ব নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, তাও গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাকিদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেককে ¯্রফে বিচক্ষণ হতে হয়। আমি ¯্রফে বিচক্ষণ হতে চেয়েছি। এটাই শেষ কথা।’

যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ধার্মিক লোক কিনা, তিনি বলেন, ‘চরমভাবে।’

মজার ব্যাপার হলো, তিনি যে দুটি টিকিটে পুরস্কার পেয়েছেন, উভয়বারই তিনি একই দোকান থেকে কিনেছেন। দোকানটি হলো ফ্লাটবুশের অ্যাভেনিউ এইচের এইচঅ্যান্ডএ গ্যাস অ্যান্ড কনভিনিয়েন্স।

ক্লার্ক হাসান নাবিল বলেন, এই গ্যাস স্টেশনে মারে নিয়মিত আসেন। তবে দুটি বিশাল অঙ্কের পুরস্কার জিতেই তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মনে হচ্ছে, তিনি উপভোগ করেন বলেই লটারির টিকিট কেনেন।

তিনি বলেন, ‘টানা দুবার লটারি জেতা? কেউ এমনটার কথা কল্পনাও করতে পারে না। বিষয়টি হিসাবে মেলানোর মতো নয়।’

তিনি বলেন, মারে স্থানীয়দের সাথে খুবই বন্ধুবৎসল। খুবই উদার। তিনি সৎভাবে থাকেন।

নাবিল বলেন, ‘তার জন্য এটি একটি খেলা। তিনি ¯্রফে খেলে যাচ্ছেন। আর আপনি একবার জয়ী হলে আবারো জয়ী হতে চাইবেন।’

সর্বশেষ জয়ের টাকা তিনি একবারে নিতে চান। ফলে কর বাদ দিয়ে তিনি ৬ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি পাবেন।

গত বছরের আগস্টে প্রথমবার জয়ের সময়ও তিনি একসাথে সব টাকা নিয়েছিলেন। সেবারও তিনি ৬ মিলিয়ন ডলারের সামান্য কিছু বেশি পেয়েছিলেন।

অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও এই মিলিওনার এখনো সাধারণ জীবনযাপন করছেন। তিনি সাদামাটা তিন তলার একটি সেমি-অ্যাটাচড ব্রিক হোমে থাকেন। এখানেই তিনি জীবনের বেশির ভাগ কাটিয়েছেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০ এক্স স্ক্র্যাচ-অফ গেমে জয়ের সম্ভাবনা ৩.৬৪ মিলিয়নে এক। আর ব্ল্যাক টাইটানিয়াম গেমে তা ৩.৫৩ মিলিয়নে এক।

লটারি কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ সময়কালে উভয় লটারিতে মোট বিক্রি হয়েছে ৪,৪০৬,৩৩৮,১৯৮ ডলার। একইসময়ে পাঁচটি বরোর স্কুলগুলো শিক্ষা তহবিলে লটারি এইড হিসেবে পেয়েছে ১,০৭০,৪৭০,৪৩০ ডলার।

শেয়ার করুন: