
ফাইল ছবি
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, চলমান অভিবাসন সঙ্কট ‘নিউইয়র্ক সিটিকে ধ্বংস করে ফেলবে।’
তিনি আপার ওয়েস্ট সাইডে এক কমিউনিটি সভায় বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী এসেছে। আর তারা ১২ বিলিয়ন বাজেট ঘাটতিতে মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাডামস বলেন, ‘আমি জীবনে এমন সমস্যায় পড়িনি। এই সমস্যাটির কোনো সমাপ্তিও দেখছি না। এই সমস্যা নিউ ইয়র্ক সিটিকে ধ্বংস করে ফেলবে।’
অ্যাডামস বলেন, একটা পর্যায়ে আশ্রয়প্রার্থীরা আসত ভেনেজুয়েলা থেকে। কিন্তু এখন তারা আসছে ইকুয়েডর থেকে, মেক্সিকো হয়ে রুশ ভাষাভাষীরা আসছে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকেও আসছে।
অন্যান্য নগরীতেও ক্রমবর্ধমান হারে অভিবাসী এলেও নিউইয়র্ক সিটি হলো এই সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দু।
অ্যাডামস বলেন, ‘আমরা যে নগরীকে চিনি, সেটা হারিয়ে যেতে বসেছে। স্ট্যাটেন আইল্যান্ড বলছে, তাদেরকে ম্যানহাটনে পাঠান; ম্যানহাটন বলছে, তাদেরকে কুইন্সে পাঠিয়ে দিন; কুইন্স বলছে, তাদেরকে ব্রুকলিনে সরিয়ে নিন।’
চলমান সঙ্কট নিরসনে সহায়তা করার জন্য মেয়র অ্যাডামস গভর্নর ক্যাথি হোকুল এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাহায্য কামনা করেন।
গভর্নর হোকুল বৃহস্পতিবার এক আলোচনায় বলেছেন, নিউইয়র্ক রাজ্য ‘পুরো দুনিয়াকে আশ্রয়’ দিতে পারে না। তিনি বলেন, জবাব নিহিত রয়েছে ওয়াশিংটনে।
অ্যাডামস মনে করেন, অভিবাসন সঙ্কটের মূলে রয়েছে ্রুত গতিতে তারে কাজ করার অনুমতি না দেওয়া। তারা বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পেলে তারা স্যোসাল সেফটি নেটের ওপর নির্ভর করে থাকতে বাধ্য হবে না।
কিন্তু আশ্রয়প্রার্থীদের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার জন্য ১৫০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। তারপর তা অনুমোদনের জন্য আরো ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাজগুলো শেষ করতে আরো বেশি সময় লাগছে।
অন্য যেসব স্থানে অভিবাসীদের ভিড় বাড়ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন, ডিসি, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, ডেনভার ও লস অ্যাঞ্জেলস।