ফাইল ছবি
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস ‘হোমলেস বিল অব রাইটস’কে আইনে পরিণত করার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে নগরীতে রেকর্ড সংখ্যক গৃহহীনদের- হোমলেসদের আইনগত সুরক্ষা আরো বাড়বে। অবশ্য আইনটির কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে সমালোচকেরা বলছেন, এতে তাদের খুব বেশি ফায়দা হবে না।
গত সামার থেকে ৭০ হাজার আন্তর্জাতিক অভিবাসীর আগমন ঘটায় নিউইয়র্ক সিটির শেল্টারগুলোর ওপর মারাত্মক চাপের সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন আইনে আশ্রয়হীনরা তাদের ইচ্ছামতো যেকোনো স্থানে ঘুমানোর অধিকার না পেলেও পাবলিক প্লেসজুলোতে কাজটি করার অধিকার পাবে। নিউইয়র্ক সিটির আরেকটি আইনে গৃহহীনরা ঘরের বাইরে কোথায় কোথায় ঘুমাতে পারবে, তা বলা হয়েছে।
ওই আইনে বলা হয়েছে, চলাচলের রাস্তা বহাল রাখার জন্য পুলিশ ফুটপাত ও রাস্তাগুলো পরিষ্কার রাখতে পারবে। নগরীর বেশির ভাগ পার্ক রাত ১টায় বন্ধ হয়ে যায়। আর লোকজন সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি-মালিকানায় থাকা সম্পত্তিতে ঘুমাতে পারে না।
নতুন আইনে লোকজনকে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানানোর অধিকার দিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে বিরূপ পরিস্থিতির শিকার তাদের হতে হবে না।
হোমলেস বিল অব রাইটস-এর প্রধান স্পন্সর নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমান উইলিয়ামস বলেন, আইনটির দরকার এই জন্য যে শেল্টার সিস্টেমে থাকা লোকজনকে বুঝতে দেওয়া যে তারা সুষ্ঠু ও সম্মানজনক আচরণ পাওয়ার অধিকারী।
নতুন আইনে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে যে নিউইয়র্কারদের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে আদালতের এক রায়ে বলা হয়েছিল যে ব্যক্তিই আশ্রয় চাইবে, তাকেই সাময়িক আশ্রয় দিতে হবে।
অবশ্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের বোঝাই হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় পাওয়া কঠিন ব্যাপারে পরিণত হয়ে গেছে। নগরীর ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিসেস বর্তমানে প্রায় ৮১ হাজার লোককে আশ্রয় দিচ্ছে। এদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় পালিয়ে আসা লোকদের সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য সংস্থায় আশ্রয়প্রাপ্ত লোকজনকে ধরা হয়নি। আশ্রয়প্রার্থীদের সুবিধা দিতে নগরী বেশ কয়েকটি হোটেল ভাড়া করেছে।