
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা, নিউইয়র্ক-এর ঈদ পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব গত ৪ মে জয়া পার্টি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাইদা সিকদার হাই। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাকীল হক। এটি ছিল একদিকে সাংগঠনিক মিলনমেলা, অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য অনুরণন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ‘ঠিকানা’ সম্পাদকম-লীর সভাপতি এম এম শাহীন, প্রাক্তন সভাপতি এমাদ আহমেদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা বেদারুল ইসলাম বাবলা, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন, উপদেষ্টা আব্দুল কাদির চৌধুরী, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জাকারিয়া চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক এমএ ওয়াদুদ, অর্থ সম্পাদক আলী হাসান, সদস্য শামীম আহমদ, ডায়াস্পোরা নেতা ড. প্রতাপ দাশ, সংগঠক এজাজুল আলম ও হাফিজা হুসাইন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি দিলু চৌধুরী, উপদেষ্টা শফিকুর রহমান, সেকিল চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, শেখ আতিক ও শেখ সিরাজসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে এম এম শাহীন বলেন, ‘বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার মাধ্যমে প্রবাসজীবনে আমার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংগঠনিক উত্থানের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এই সংগঠন শুধু আমার একার নয়Ñ এটি হাজারো প্রবাসীর আত্মপরিচয়, সংগ্রাম এবং স্বপ্নের প্রতীক। তিনি আরো বলেন, লীগের কার্যক্রম ছিল সময়োপযোগী, ঐক্যবদ্ধ এবং সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবাসী উদ্যোগ। সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ, ৩৭ বছর পর আমন্ত্রণ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এজন্য সভানেত্রী সাইদা সিকদার হাই, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাকীল হক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
প্রাক্তন সভাপতি এমাদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ লীগের ইতিহাস গৌরবদীপ্ত। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাস থেকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। বহু মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক এই প্ল্যাটফর্ম থেকে জাতির চেতনাকে ধারণ করে কাজ করেছেন।
আবেগভরে তিনি যোগ করেন, আমরা চেয়েছি প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখতে। নতুন প্রজন্মের কাছে সেই উত্তরাধিকার পৌঁছে দেয়াটাই আমাদের দায়বদ্ধতা।
সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। নৃত্যে অংশ নেন মুন হাই। সংগীত পরিবেশন করেন কৃষ্ণা তিথি, আব্দুল হামিদ ইকবাল, লুসি হাসান, কানিজ ফাতিমা পাপড়ি, দিয়া হক ও আরাফ হাসান। তাদের পরিবেশনায় দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয় পুরো হল। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন শীলা মোহিত, বিউটি ইয়াসমিন, সিমু রহমান ও অনামিকা জাহান।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে সৌহার্দ্য বিনিময় হয়। সবশেষে আয়োজক ও অতিথিদের হৃদয়ে থেকে যায় এক নির্মল আনন্দ, স্মৃতি আর প্রত্যাশা- এই ধরনের প্রাণবন্ত আয়োজন যেনো আবারও ফিরে আসে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও প্রবাসজীবনের বন্ধনে বারবার।