
ছবি - নবযুগ
‘রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে, সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে, গভীর রাতের জাগায় লাগে’। কবিগুরুর এই গানের প্রতিটি চরণের প্রতিফলন ছিল গত শনিবার চট্টগ্রাম সমিতির ‘পহেলা বৈশাখ এবং ঈদ পুনর্মিলনী’র আয়োজনে। বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পেরিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত রঙের মেলা জমেছিলো ‘চট্টগ্রাম ভবন’ এবং তার আশপাশের এলাকায়। এ যেন রঙের মেলা, প্রাণের মেলা। নানা বয়সী মানুষের ভিড়ে লোকারণ্য হয়ে যায় সম্পূর্ণ এলাকাটি, বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি ছিল অবাক করার মত।
নানা উৎসবমুখর সাজে সকলে সেজেছিলেন এবং সাজিয়ে ছিলেন। ভবনের প্রবেশদ্বারে ছিল অতি আকর্ষণীয় সাজসজ্জা, আর ভেতরে বৈশাখী এবং ঈদ এর থিম দিয়ে সাজানো হয়, যা সকল অভ্যাগতদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। আর অতিথিরাও এসেছিলেন দূর দূরান্ত থেকে। বোস্টন, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেক্টিকাট, ব্রঙ্কস, কুইন্স, স্টাটেন আইল্যান্ড, লং আইল্যান্ড কোনো এলাকাই বাদ পড়েনি। আর হোস্ট কাউন্টি ব্রুকলিনতো আছেই, তিল ধরণের ঠাঁই ছিল না, কিন্তু সকলেই মিশে গেছেন একসাথে, একাত্ম হয়েছেন মন খুলে। এমন দৃশ্য অনেকদিন দেখেনি চট্টগ্রামবাসী।
শনিবার ১৯ এপ্রিল বিকেলে আগত অতিথিদের আপ্যায়ণ করা হয় নানা ধরণের দেশিয় হাতে তৈরী পিঠাপুলি দিয়ে। ছিল মচমচে মুড়ি আর ছোলা, গরম গরম জিলাপি ছিল সুপারহিট। আর চটপটির স্ট্যান্ডে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন মেয়েরা, ছেলেরা ও বাদ যাননি। সবশেষে ছিল গরমাগরম চা। শিশুদের জন্য ছিল খেলনা এবং চকোলেট এর ছড়াছড়ি।
মাগরিবের নামাজের পরপরই শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের। তিনি বলেন, সকল চট্টগ্রামবাসীর মিলনকেন্দ্র চট্টগ্রাম সমিতি, সকলের অংশগ্রহণেই পূর্ণতা পাবে এই সংগঠন। ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হবার আহব্বান জানান তাহের। এই পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী শাখাওয়াত হোসেইন আজম, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড এর কো-চেয়ারম্যান, প্রতিষ্ঠাতা ট্রোরার শামসুল আলম, নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ রিজভী, অন্তর্র্বতীকালীন কমিটির সদস্য নুরুল আনোয়ার, আবুল কাসেম চট্টলা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু তালেব চৌধুরী চান্দু , আজীবন সদস্য সারওয়ার হোসেন, সমিতির সাবেক কার্যকরী সদস্য কামাল হোসেন মিঠু, সাবেক অডিট কমিটির সদস্য ইব্রাহিম দিপু, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর, সংগঠক সৈয়দ অম বাবর, সৈয়দ হেলাল মাহমুদ, রাজনীতিবিদ খোরশেদ খন্দকার, সাবেক কোষাধ্যক্ষ দিদার আহমেদ, জামাল চৌধুরী, সিপিএ শ্রাবনী, সাবেক সহ সভাপতি ফোরকান আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশ্রাব আলী লিটন, কানেক্টিকাট থেকে আগত নাজিম চৌধুরী, আবুল কালাম, বাসন আলী, নিউজার্সি থেকে মোহাম্মদ আল মামুন, মোহাম্মদ সেলিম, উত্তম দাস, পেনসিলভেনিয়া থেকে কাজী মনসুর কাইয়ুম, আমির হোসেন, ফেরদৌস ইসলাম, তৈয়ব উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন, জিয়াউল হক মিজান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ দিদারুল আলম প্রমুখ।
বিশিষ্ট অথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল কাদের মিয়া, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব এবিপিসির সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার, সন্দ্বীপ পৌরসভা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী জাফর, বিশিষ্ট ব্যাংকার ওসমান গনি চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী, এডভোকেট আবদুল হামিদ প্রমুখ। এর পরেই ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য রাখেন ‘ঈদ পুনর্মিলনী এবং পহেলা বৈশাখ’ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনাম চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ টি আলম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম, সহকারী কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন, প্রধান সমন্বয়কারী তানিম মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরুল কায়সার, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ইছা, অফিস সম্পাদক অজয় প্রসাধ, প্রচার সম্পাদক জাবের শফি, কলিম উললাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মহিম উদ্দিন, পল্লব রায় প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্বের পরেই শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজু আখন্দ। অনুষ্ঠান চলাকালীন পরিবেশন করা হয় পান্তা ইলিশসহ নানা পদের খাবার। খবর: প্রেস বিজ্ঞপ্তি।