
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক নেতারা বক্তব্য রাখছেন
নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র নির্বাচিত সাবেক ৬ সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলামের অসহযোগিতায় তাদের নেয়া সমঝোতা উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি বাড়ি নিয়ে জটিলতা ও সংগঠনের সাড়ে ৩ লাখ ডলার ফেরত প্রশ্নে এগিয়ে আসেননি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সহ সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণাও সাংগঠনিক হয়নি। তাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা জালালাবাদের সংবিধান অনুসারে অবৈধ। তবে কার্যকরি কমিটির সভায় ময়নুলকে সাময়িকভাবে বহিস্কারও বৈধ। তাকে বহিস্কার করতে হলে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই অন্তবর্তী সময়ে সাধারণ সম্পাদকের কাজগুলো সহ সাধারণ সম্পাদক করবেন এটাই স্বাভাবিক।
তারা বলেন, জালালাবাদের অর্থ নিজের প্রতিষ্ঠান কিনতে ব্যবহার করা একটি ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। কমিটি চাইলে এ ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে। ৬ সাবেক সাধারণ সম্পাদক নন, নর্বাচিত বর্তমান কমিটিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে রোকন হাকিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণাও সঠিক হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় জামাইকার হিলসাইডস্থ মতিন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ সংগঠনের সাবেক ৬ সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। সাবেক এ নেতৃবৃন্দরা হলেন- জুনেদ এ খান, মিসবাহ মজিদ, আতাউর রহমান সেলিম, আব্দুল হাসিব মামুন, আহমেদ জিল্লু ও জেড চৌধুরী জুয়েল। জুয়েল মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সংকট সমাধানে আমরা একটি সমঝোতাপত্র তৈরি করি। সভাপতি বদরুল খান এতে স্বাক্ষর করেন। সাধারণ সম্পাদক ময়নুল এক সপ্তাহ ধরে টালবাহানা করার পর স্বাক্ষর প্রদান করে। স্বাক্ষর করার পরও ময়নুল সংগঠনের অর্থে কেনা বাড়ির কাগজপত্র ও খরচের হিসেব দিতেও গড়িমসি করেন।
অনেক আলেচানার পর তিনি বাড়ি কেনার আংশিক হিসেব দাখিল করেন। এতে দেখা যায় বাড়ি ক্রয়কালে তিনি সংগঠনের তহবিল থেকে ৩ লাখ ৯ হাজার ডলার উত্তোলন করেছেন। বাড়ি কেনার পর নাকি তিনি বাড়ির জন্য আরও ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২ ডলার খরচ করেছেন। অন্যান্য খরচসহ সবমিলে বাড়িটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নামে হস্তান্তর করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৩২ ডলার।
আদৌ এ বাড়ির দাম এটা হবে কিনা, জালালাবাদের নামে বাড়িটি নিলে তা আর্থিকভাবে ক্ষতির কারণ হবে কিনা তা যাচাই করার জন্য ময়নুলকে অনুরোধ করা হয় বাড়ির কাগজপত্র দিতে তিনি রাজি হননি। এতে সমঝোতার উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হয়। তারা বলেন, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য বিবেচনায় না এনে বাড়িটি প্রশ্নে আলোচনা সঠিক হবে না। সাধারণ সম্পাদক ময়নুলের অসহযোগিতায় সমঝোতা প্রক্রিয়া থেকে আমরা সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে সমঝোতার স্বার্থে যে কোন পক্ষকে আগামীতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসিব মামুন বলেন, সাধারণ সম্পাদক ময়নুলকে সাময়িকভাবে বহিস্কার সাংগঠনিকভাবেই হয়েছে। তবে তার চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে সাধারণ সভায়। আমরা এই আলেচনা ও সমঝোতা উদ্যোগের গত দেড় মাস ময়নুল সাময়িক বহিষ্কারের আওতায় ছিলেন না। তার বহিষ্কারের আদেশ স্থগিত রাখা হয়েছিল সমঝোতার স্বার্থে-এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।