শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

এক বছরে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি

সুব্রত বিশ্বাস, সভাপতি- যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৫ মার্চ ২০২৩

এক বছরে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি

ফাইল ছবি

ইলিয়া সামোলেঙ্কো। ওনাকে ইজরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে লাল কার্পেট বিছিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। সরকারি আমন্ত্রণ ও বিপুল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন ইজরায়েলের কট্টর জায়নবাদী সরকারের প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কে এই ইলিয়া? এই মুহূর্তে ইউক্রেনের মাটিতে যারা রাশিয়ার সাথে লড়াই চালাচ্ছেন এবং সারা ইউক্রেনের গুজে বহু শতক জুড়ে বসবাসরত রুশ জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত বীভৎসা দমন-পীড়ন-উৎখাত-সন্ত্রাস চালাচ্ছেন সেই কুখ্যাত অজভ দলের হিরো। আজভ দলটা কী? ২০১৪ সালে ইউক্রেনের বুকে তৈরি হয় এই দলটি। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর অভিমত ছিল-  আন্তর্জাতিক নয়া ফ্যাসিস্ট বা নব্য নাৎসি দলে মূল হচ্ছে এই আজভ। যারা প্রকাশ্যে হিটলার এবং নাৎসির দলকে স্যালুট জানিয়ে মর্যাদা দিয়ে।

যদিও একাজ তাদের পূর্বে অনেকেই করেছে  যেমন ভারতবর্ষের আরএসএস প্রধান মুঞ্জ এবং রাশিয়ার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিশ^যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের যে দুকোটি মানুষ খুন হয়েছিল ফাসিস্টদের হাতে তার জন্য একমাত্র দায়ী জোসেফ স্ট্যালিন। কারণ উনি নাকি হিটলারের সঙ্গে চুক্তি করে এ যুদ্ধ থামাতে পারতেন! এতে সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকতো না, কিন্তু যুদ্ধ হতো না। সুতরাং ফ্যাসিস্ট স্তাবকরা হঠাৎ ২০১৪ সালেই তৈরি হয়নি। ‘আজভ তৈরির পেছনে সক্রিয় ছিল ’প্যাট্রিয়টস্ অব ইউক্রাইন নামের একটি নিও নাৎসি দল। ‘আজভ তাদের ঝান্ডায় নাৎসিদের স্বস্তিকা চিহ্ন ব্যবহার করে। ফ্যাসিস্টদের প্রচুর প্রতীক- মেডেল ব্যবহার করে যেমন ’সোনেনরেড, ‘আজভ দলটি এখন নেই। রাশিয়া থেকে এবং এদের সম্পর্কে ইউরোপের বহু দেশ অ্যামেনেস্টি আসার পর এবং বিশেষত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধের পর ‘আজভ দলটি আর নেই। কোথায় গেল?

দলটির নতুন নাম হলো ‘ন্যাশনাল কর্পস। এদের জাতীয় নেতা হলো আন্দ্রেই বিলেতস্কি। বিলেতস্কি পেছন সাজাচ্ছে আর ইলিয়া সামনে। মাঝে রইলো ইউক্রেনের সরকারের পুতুল প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। যাতে ‘আজভ দলটির কুকীর্তির দায় ইউক্রেনের সরকারের ঘাড়ে এসে না পড়ে তার জন্য দলটির নাম বদলে গেল।

এটা কি কোনও উলটপাটল ঘটছে? মানে রাশিয়ার পুতিন এখন নব্য-নাৎসিদের বিরুদ্ধে খগড়হস্ত হয়ে উঠছে আর যারা হিটলারের তৃতীয় রাইখ সরকারের জমানায় কোটি কোটি মানুষ খুন হয়েছেন সেই ইহুদীদের সরকার ইউক্রেনের নব্য নাৎসিদের হেড পান্ডার গলায় বরণমালা পরাচ্ছেন। কেন?

দুটি ঘটনার পেছনেই সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। প্রথমে রাশিয়ার প্রধান ভøাদিমির পুতিনের কথাতেই আসা যাক। সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার জনসাধারণের মতামতের ওপর অনেক সংস্থা সমীক্ষা করে। এখানে সরকারি বা গোয়েন্দা দপ্তরের সমীক্ষার কথা বলা হচ্ছে না। কারণ পুতিনের জমানায় ভোটপর্ব আদৌ সন্তোসজনক ছিল না। ২০১৩ সাল। প্রশ্ন ছিল একটাই। আপনি কি পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নে ফিরে যেতে চান অথবা পছন্দ করেন? রাশিয়ান পাবলিক ওপিনিয়ন ফেডারেশন বলে একটি সংস্থা সমীক্ষাটি চালান। যাতে দেখা যায় প্রায় ৬০শতাংশ রুশ পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নকেই বর্তমানের তুলনায় বেশি পছন্দ করছেন। ২০১৬ সাল আল রাশিয়া পাবলিক ওপিনিয়ন সেন্টার একই প্রশ্নে সমীক্ষা করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে মতামত ৬৪ শতাংশ। ২০১৭ সাল। মতামতটা একটু কমে দাঁড়ালো ৫৮ শতাংশ। ২০১৮ ডিসেম্বর। এবার সমীক্ষা চালান লেভাদা সেন্টার সোর্ভে। মতামত সোভিয়েতের পক্ষে দাঁড়ালো ৬৬ শতাংশ। লক্ষ্যণীয় যে এখানে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সি তরুণ ভোটারদের ৭৬ শতাংশ মতামত দেন ক্রেমলিনের ওপরের একসময়ের লাল ঝান্ডার পক্ষে। একই মনোভাব প্রতিফলিত হয় আর্মেনিয়া, কিরঘিজিস্তান, তাজিকিস্থানে। টনক নড়ে পুুতিনের যন্তরমন্তরে। এই মতামত সরাসরি ভøাদিমির পুতিনের রাজত্বের থেকেও ভøাদিমির লেনিনের সোভিয়েতকে বেশি পছন্দ করছে।আমরা যেন ভুলে না যাই যে, ১৯৯১ সনের ২৬ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গিয়েছিল। না, বহিঃশত্রুর আক্রমণে নয়। ভেতরের দুশমনের হামলায়। যারা কেউ ছিলন তৎকালীন সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য কেউ বা আরও বড়ো কিছু। এদের সবার কাছে একটা তথ্য ছিল নিশ্চিতভাবে।

১৯৯১ সালে ১৭ মার্চ যে আভ্যন্তরীণ মতামত নেওয়া হয় বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়নে, তাতে ৭৬ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন টিকিয়ে রাখার সপক্ষে। ২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্বর ভেঙে দেওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের ১০০ বছর পার হয়ে গেল। কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসঘাতকতায় ঠান্ডা রাতে ভøাদিমির পুতিন ছিলেন কেজিবির বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগের অন্যতম অপরিচিত শীর্ষ মুখ। সেদিনের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পুতিনও জানতো এসব কিছু। জানতো আমেরিকার গোয়েন্দাযন্ত্র সিআইএ থেকে মার্কিন মিলিটারির তকতের শিরায় শিরায় কি মতলব চলছে। জানত সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলেও তার অজেয় পরাক্রম-সাহসের ইতিহাস মানুষের মনের  ভেতর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে না। জানত ২ কোটি সন্তানের লাশের বিনিময় ফ্যাসিস্ট বাহিনীর সব দাপটকে গুঁড়িয়ে দেওয়া পরাক্রান্ত লাল ঝান্ডা জিন্দা থাকবেই।

অতএব তাকে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করো। সে পুতিন চার পূর্বতন সোভিয়েত নয় চরম স্বৈরাচারী এবং সা¤্রাজ্যবাদী জারের সা¤্রাজ্যের পুনরুত্থান তিনি ভালোভাবেই খতিয়ে দেখেছেন ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণপন্থী এবং নিও ফ্যাসিস্ট রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত। তোল্লা দিলেই এরা জেঁকে বসবে। ইতালি থেকে ফ্রান্স, জার্মানি থেকে ইউক্রেন সর্বত্র চলছে বাতিল আর্যরক্তের নতুন মিশেল। পুঁজিবাদের নয়া ফিউশন, এরাই যদি খবরদারি চালায় তাহলে কী হবে? সা¤্রাজ্যবাদের দুনিয়া দখলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব উলঙ্গভাবে নেমে পড়েছে ইউক্রেনের প্রান্তরে। আমেরিকার পূর্বতন প্রেসিডেন্ট কট্টর দক্ষিণপন্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ওনার মধুর সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চমৎকার আছে সদ্য ইতালির ভোটে জেতা নিও ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি থেকে ফ্রান্সের মেরি লা পেনের সাথে। তিনিই আবার খড়গহস্ত ইউক্রেনের চরম ঘৃণা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি তাদের ক্রমবর্ধমান ভালোবাসা দুটোকেই ব্যবহার করো নিজের মসনদ বজায় রাখতে। তৃতীয় কোনও রাস্তা নেই। ভøাদিমির পুতিন কোনওদিনই ভøাদিমিরি ইলচ উইলিয়াম লেনিনকে টপকাতে পারবেন না। ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে যোগসূত্র বজায় আছে।

কী রকম? কিয়েভ সরকার চেয়েছিল এফ-১৬ বোমারু বিমান। কারণ রুশ বিমান হামলার কোনও উত্তর দেওয়া যাচ্ছে না। আমেরিকা সরকার জানিয়ে দিল-না বদলে এলো প্যাট্টিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র। এটকে যতই অত্যাধুনিক বলা হোক না কেন এটার ক্ষমতাকে ইতিমধ্যেই টপকে গেছে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। তার ওপর কোন ধরনের প্যাট্টিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে ইউক্রেনের বুকে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। যদি এমআই এম-১০৪ প্যাট্টিয়ট মিসাইল বসায় তা হলে একরকম কারণ তা শুধু যুদ্ধবিমান নয়-ব্যালাস্টিক মিসাইল ক্রুইজ মিসাইলকে ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি এর ভৌগলিক অবস্থানকে চট করে ধরে ফেলতে পারে। সে কারণে রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ বেশ হেসেই বললো-পুরনো প্রযুক্তির লকারে অস্ত্র পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। অনেক অনুনয়-বিনয় করার পর জার্মানি বেশ কয়েকটা পুরনো লেপার্ড-২ ট্যাঙ্ক পাঠাতে রাজি হয়েছে।

ইতিমধ্যে কিছু পাঠিয়েও দিয়েছে। কিন্তু এর বেশি সে এগোতে রাজি নয়, কারণ তেল ও গ্যাস নিয়ে সে নিজেই জেরবার। যেচে কেউ রাশিয়ার সাথে টক্কর দিতে রাজি নয়। কারণ ঐ দেশটার অজেয় ক্ষমতা সম্পর্কে সকলেই সন্দিগ্ধ। আর একটা চোরা ভাবনা কাজ করছে। যদি এভাবে রাশিয়াকে যুদ্ধে নিয়োগ করা যায় তাহলে রুশ জনসাধারণ যে আবার  তাদের তৈরি আর্মির বীরত্বের কাছে ফিরে যাবে না বা তাকেই আঁকড়ে ধরবে না তাই বা কে বলতে পারে। রাজধানী কিয়েভে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শুনুক যতোই চাটনি বর্ক্তৃতা দিক না কেন-ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যের সূর্য অস্ত গেছে বহুদিন আগে। মার্কিন  প্রেসিডেন্ট হঠাৎ গেছেন ইউক্রেনে। তারপর পোলান্ডে। ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। অন্যদিকে, পুতিন রুশ-মার্কিন পরমাণু অস্ত্র চুক্তিতে আর অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। পুতিন বলছেন, রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায় পশ্চিমা শক্তিগুলো। ইউক্রেনে আসলে যুদ্ধ চালাচ্ছে তারাই। এবার দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ প্রসঙ্গ-ইজরায়েল। তারা কেন ফ্যাসিস্ট ইলিয়াকে তোয়াজ করল? এর পেছনে আমেরিকার বদ মতলব কাজ করছে। এখন থেকে নয়, বহুবছর থেকেই। বিশেষ করে প্রথম বিশ^ যুদ্ধ থেকে বিষয়টা সামনে আসে। তা হলো মার্কিন বৈদেশিক ও সমর নীতিতে বিপুল পরিমাণে কট্টর জায়নবাদী ইহুদি লবির সাংঘাতিক প্রভাব। দিনের পর দিন ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে যে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্টাইন-মিশর, জর্ডন, লেবানন সহ অজ¯্র দেশের বিরুদ্ধে তাকে জাতিসঙ্ঘ থেকে নিরাপত্তা পরিষদ সর্বত্র আগলে রাখে আমেরিকার জনসাধারণ নয়, রাখে ওয়াশিংটনের শাসকগোষ্ঠীর ইহুদি লবি। তাদের এখন দরকার ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্র কাজে লাগিয়ে ইউরোপে নিজেদের প্রতিপক্ষকে সুদৃঢ় করা। ন্যাটোকে নিয়ে অগ্রসর হলে হবে না। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া সম্পর্কে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যানারে তাবড় তাবড় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চরম মতপার্থক্য হয়েছে। ফ্রান্স-জার্মানি-ইতালি-ইংল্যান্ড কেউ এক জায়গায় নেই। ন্যাটো-ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরা বিভিন্ন অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা, পরোয়ানা ইত্যাদি যতই চাপাক না কেন, অসহ্য যুদ্ধের বাজার রাশিয়ার অর্থনীতি টনটনাই রয়েছে।

ইতিমধ্যেই জার্মানির রাস্তায় নেমে পড়েছে মানুষ যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ফ্রাঞ্জ অল্টের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরোধী বড় বড় মিছিল হচ্ছে। দুদুটো বিশ^যুদ্ধের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো ইউরোপ আর কোনও বৃহৎ যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় না। পুঁজির শীর্ষ বৈঠক যাই সিদ্ধান্ত নিক না কেন-সাধারণ মানুষ একদমই তা মানতে রাজি নয়।

এখানেও একটা ঐতিহ্যের কথা এসে যায় যার ধারক-বাহক অবশ্যই সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শগত বাস্তবতা। ১৯১৬ সালে বিষমার্কের জার্মান সরকার গ্রেফতার করেছিল রোজা লুস্তেমবুর্গ এবং ক্লারা জেটকিনকে। কেন? কারণ জার্মান সমাজতান্ত্রিক দলের হয়ে ওনারা মানুষকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ওনারা আজ থেকে একশ বছর আগে সেদিন জোরগলায় বলেছিলেন-পুঁজিবাদ মানে যুদ্ব, বিপরীতে সমাজতন্ত্রের অর্থ শান্তি। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের রাস্তায় লক্ষ লোক নেমে এসেছেন নয়া পেনশন বিলের বিরোধিতায়। ইংল্যান্ডের সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে পরিবহণ শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ঘটছে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি। এমনকি ইজরায়েলের রাস্তাতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড় স্বৈরাচারী সরকারের আইনের অপশাসনের বিরুদ্ধে। এরপর যদি যুদ্ধের বিরুদ্ধে মিছিল বাকি সমস্ত মিছিলগুলোকে একাট্টা করে তাহলে পুঁজিবাদী যুদ্ধে ফিকির এবং মওকাগুলো বরবাদ হয়ে যাবে।

অতএব যুদ্ধটাকে চালিয়ে নিতে গেলে শুধু দামি হাতিয়ার দিলেই হবে না প্রয়োজন যুদ্ধবাজ দাঙ্গাবাজ মৌলবাদী যুদ্ধতৎপর সরকার ইউক্রেনের ফ্যাসিস্ট জোটকে নায়কের মর্যাদা দেওয়া।

লেখক: কলামিস্ট ও সংগঠক।  

শেয়ার করুন: