শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

লং আইল্যান্ডের স্কুল ডিস্ট্রিক্ট 

খাবার পানিতে মারাত্মক সীসা

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

খাবার পানিতে মারাত্মক সীসা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কেও লং আইল্যান্ডের ৬০টিরও বেশি স্কুলের খাবার পানিতে সীসার মাত্রা রাজ্যের নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাফোক কাউন্টির ৪০টিরও বেশি এবং নাসাউ কাউন্টির ২০টিরও বেশি স্কুল ডিস্ট্রিক্টের কল বা ওয়াটার ফাউন্টেন থেকে সংগৃহীত নমুনায় সীসার পরিমাণ প্রতি বিলিয়নে ৫ ভাগের বেশি পাওয়া গেছে।
২০২২ সাল থেকে এই নতুন সীমা কার্যকর করা হয়, যা আগের নির্ধারিত সীমা (১৫ পার্টস পার বিলিয়ন) থেকে অনেক বেশি কঠোর।
রাজ্যের এই তথ্যে প্রতিটি স্কুলে সীসার মাত্রা ঠিক কতটুকু ছিল তা বিস্তারিত জানানো হয়নি; কেবল জানানো হয়েছে প্রতিটি ডিস্ট্রিক্টের কোন স্কুলে কতটি পানির উৎস এই সীমা অতিক্রম করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, যে ৬৪টি ডিস্ট্রিক্টে সীসার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে, তাদের অবিলম্বে সেই কল বা ফাউন্টেনগুলো ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং দ্রুত প্রতিকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
আক্রান্ত প্রতিটি ডিস্ট্রিক্টকে তাদের কর্মী এবং অভিভাবকদের লিখিতভাবে এই পরীক্ষার ফলাফল জানাতে হবে—যদিও এই খবরে অনেক অভিভাবকই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বে শোর এলাকার একজন অভিভাবক রিচ সান্তোস বলেন, ‘এটি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে—আমার বাচ্চারা কি সারাদিন সীসাযুক্ত পানি খাচ্ছে? কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এটি সমাধান করা।’ সরকারি তথ্য অনুসারে, বে শোর হাই স্কুলের ছয়টি পানির উৎসে সীসার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘মৌলিক চাহিদাগুলো অন্তত পূরণ হবে ভেবেই তো বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো হয় পরিষ্কার পানি নিয়ে তো কোনো প্রশ্নই থাকা উচিত নয়।’
ব্রেন্টউড হাই স্কুলের ছাত্র জাইডেন কারি জানায়, সে এখন থেকে বাসা থেকে বড় পানির বোতল নিয়ে আসবে। সে রসিকতা করে বলে, ‘সারাদিন বড় পানির জগ বহন করা বিরক্তিকর হবে। কিন্তু আমি যে সীসাযুক্ত পানি খাব না, সেটা নিশ্চিত।’
পানিতে সীসার উপস্থিতি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। এর ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি, শেখার অক্ষমতা, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া এবং এমনকি কথা বলা বা শোনার ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ গুরুত্ব দিয়ে বলেছে যে, এই টেস্টিং প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিকাঠামোগত ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা এবং স্কুলগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা। কোনো ওয়াটার ফাউন্টেন মেরামত করার পর সেটি পুনরায় চালু করার আগে অবশ্যই আবার পানি পরীক্ষা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
 

শেয়ার করুন: