ছবি: সংগৃহীত
মায়ামিতে নতুন কন্ডো এবং বিলাসবহুল টাওয়ারগুলো অভূতপূর্ব গতিতে বিদেশি ক্রেতাদের হাতে চলে যাচ্ছে।
মায়ামি অ্যাসোসিয়েশন অফ রিয়েলটর্স-এর নতুন এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত ২২ মাসে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় নতুন আবাসন নির্মাণ বিক্রির মোট ৫২% এখন আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দখলে। এই পরিবর্তন ডেভেলপাররা গত কয়েক মাস ধরে যা দেখছিলেন, তাকেই নিশ্চিত করেছে।
সবচেয়ে বেশি চাহিদা আসছে লাতিন আমেরিকা থেকে, যা বর্তমানে বিদেশি লেনদেনের ৮৬% প্রতিনিধিত্ব করে।
দালালরা বলছেন, কলম্বিয়া, মেক্সিকো এবং আর্জেন্টিনা এই চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এই প্রবণতা বিদেশে চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মূলধন নিরাপদে রাখার স্থান হিসেবে মায়ামির অব্যাহত আকর্ষণকে প্রতিফলিত করে।
এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে এসেছে যখন বৈশ্বিক সম্পদ সূচকে মায়ামি দ্রুত উপরে উঠছে।
যদিও সুদের খরচ এবং বীমা প্রিমিয়াম বেড়েছে, তবুও মায়ামি এখনো অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী বাজারের তুলনায় ক্রেতাদেরকে একই দামে বেশি জায়গা দিচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, ১ মিলিয়ন ডলার বাজেট নিয়ে মোনাকোর তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি রিয়েল এস্টেট কেনা যায় এবং নিউ ইয়র্ক বা লন্ডনের চেয়েও যথেষ্ট বেশি কেনা যায়। বর্তমান দামেও এই কারণে মায়ামি একটি সুস্পষ্ট মূল্য সুবিধা ধরে রেখেছে।
এছাড়াও, নগদ অর্থই এখানে মুখ্য। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ক্রেতা কোনো ধরনের অর্থায়ন ছাড়াই লেনদেন সম্পন্ন করছেন। সুদের হার ওঠানামা করলেও এই বিষয়টি বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে এবং নতুন উন্নয়ন চুক্তিগুলো সচল রাখতে সাহায্য করছে।

















