ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক রাজ্যে নতুন ভবন ও বাড়ি নির্মাণে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে চলেছে, তাকে অগ্রাহ্য করার লক্ষ্যে আনা ফেডারেল আইন মার্কিন হাউসে এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটিতে পাস হয়েছে।
এর ফলে ‘এনার্জি চয়েস অ্যাক্ট’ বিলটি এখন পুরো হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিবেচনার জন্য প্রস্তুত। এই বিলটি রাজ্য বা স্থানীয় সরকারগুলোকে নতুন নির্মাণে প্রাকৃতিক গ্যাস বা প্রোপেনের মতো নির্দিষ্ট শক্তির উৎস নিষিদ্ধ করতে বাধা দেবে।
২৪-২১ ভোটে কমিটিতে অনুমোদিত এই আইনটি পশ্চিম নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান প্রতিনিধি নিক ল্যাংওয়ার্দি পেশ করেছিলেন। এটি রাজ্যের ‘অল-ইলেকট্রিক বিল্ডিং অ্যাক্ট’-এর জবাবে আনা হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের ‘অল-ইলেকট্রিক বিল্ডিং অ্যাক্ট’ ২০২৩ সালে রাজ্যের বাজেটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই আইনে ১ জানুয়ারি থেকে সাত তলার কম নতুন ভবনগুলোতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিষিদ্ধ করার কথা ছিল। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির পরে নির্মিত অন্য সমস্ত ভবনের ক্ষেত্রে এই আদেশ ২০২৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গভর্নর ক্যাথি হোকুল এবং পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছেন, এ আইনটি তার ক্লিন এনার্জি লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এটি রাজ্যের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
গ্যাস এবং নির্মাণ শিল্প গোষ্ঠীগুলো দুই বছর আগে এই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করে বলেছিল যে এটি গ্যাস সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ফেডারেল সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে। গত নভেম্বরে রাজ্যের অ্যাটর্নিরা একটি আদালত ফাইলিং-এর মাধ্যমে আইনটির কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে সম্মত হন। দ্বিতীয় সার্কিট ইউএস কোর্ট অফ আপিলস এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত আইনটির বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।
‘অল-ইলেকট্রিক বিল্ডিং অ্যাক্ট’-এর কারণে নির্মাণ ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা সাশ্রয়ী আবাসনের অভাবের সময়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও, এটি ভবিষ্যতের বৈদ্যুতিক গ্রিডের উপর সম্ভাব্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক স্টেট বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন এই আইনের বিরোধিতা করেছে।

















