ছবি: সংগৃহীত
ব্রঙ্কসে ঐতিহ্যবাহী বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টার পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে । সম্প্রতি বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে সাবেক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এলাকার মুসল্লিদের আলোচনার প্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ সদস্যবিশিষ্ট এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং ৭ সদস্যবিশিষ্ট ট্রাস্টি কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত এই কমিটি আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোঃ কবির এবং সেক্রেটারি হিসেবে চার্লি আকবর (আলী) দায়িত্ব পেয়েছেন। কমিটির অন্যান্য পদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন ট্রেজারার মোঃ ফরিদুল ইসলাম খাঁন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জুলফিকার আলিম, এসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার মোঃ আবুল হোসেন, মেম্বার সর্বজনাব সেলিম রাঙ্গরেজ, খবির উদ্দিন ভূঞা, আবুল ইউসুফ, মোঃ সোহরাব আলী, মোঃ আব্দুস সালাম এবং মোঃ কামাল (লায়েক) ।
অন্যদিকে নবগঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আসাদুজ্জামান খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান সেলিম এবং মেম্বার হিসেবে সর্বজনাব মির্জা মোঃ হেলাল উদ্দীন, মোঃ কামরুল ইসলাম বাবু, মাহবুব আলম, রিসপা ইসলাম এবং নাজিম উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন আব্দুল মতিন, মাসুদ উর রহমান, সিরাজুল হামিদ চৌধুরী এবং মোক্তার আহমদ ।
নবগঠিত কমিটির প্রেসিডেন্ট মোঃ কবির এবং সেক্রেটারী চার্লি আকবর (আলী) এলাকার মুসল্লিদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন । তারা জানান, যে কোনো মসজিদ পরিচালনায় কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে মসজিদে যথাযথ ব্যবহার, মসজিদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও উন্নতি নির্ভর করে মুসল্লীদের সদিচ্ছার ওপর। তারা সেন্টারকে আরও এগিয়ে নিতে এলাকার মুসল্লিসহ কমিউনিটির সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে আগামী ১১ জানুয়ারি শনিবার বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারে বার্ষিক ফান্ড রাইজিং ডিনার অনুষ্ঠিত হবে । বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফিলিস্তিনের মসজিদ আল আকসার তারাবি ইমাম শায়েখ ড. হাসান আবুনার ।
ফান্ড রাইজিং প্রোগ্রামে অংশ নিতে নিউইয়র্কের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি কমিটির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ।
ফান্ড রাইজিং এর ব্যাপারে বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতীব মাওলানা আজিরুদ্দীন জানান, মসজিদে সহযোগিতা করা এমন একটি পুণ্যময় কাজ, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। যত দিন সেই মসজিদে আল্লাহর ইবাদত হবে, তত দিন সহযোগিতাকারী এর সওয়াব পেতে থাকবেন । তাই সকল মুসলিমদের উচিৎ এসব কাজে সাধ্যমত অংশ নেওয়া।

















