বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

মানহাটানের হাইস্কুল ছাত্রের আবিষ্কার

আরো সহজে মিলবে ৯১১ থেকে সেবা 

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৫১, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আরো সহজে মিলবে ৯১১ থেকে সেবা 

ছবি: সংগৃহীত

ম্যানহাটানের এক হাইস্কুল ছাত্র এআই অ্যালগোরিদমের নক্সা করেছে, যাতে ৯১১-এ ফোনকারীরা আরো সহজে তারা সত্যিকারের প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে পারবে। এর ফলে সাড়া দেওয়ার সময় কমবে।
এই আবিষ্কারটি করেছেন ম্যানহাটানের ব্রাউনিং স্কুলের ১৭ বছর বয়স্ক মৃদুভাষী ছাত্র পিয়ের্স রাইট। তিনি জানিয়েছেন, তার মডেলের মাধ্যমে ফোনকারী কী চাচ্ছেন, তা সহজেই বোঝা যাবে।

তিনি বলেন, “অ্যালগোরিদম যদি বলে যে ‘আমি মনে করি যে এটা মানসিক স্বাস্থ্যের ফোন’ তখন আপনি রোগীকে সহযোগিতা করার জন্য এবং আরো যথাযথ সহায়তা করতে একজন সাইকিয়াট্রিক বা মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীকে পাঠাতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এটি রোগীদের সময় বাঁচাবে। সেইসাথে নগরীর জন্যও কল্যাণকর হবে। আর এর মাধ্যমে অনেক দ্রুতগতিতে অ্যাম্ব্যুলেন্স পাঠানো যাবে।’
অ্যালগোরিদমটি তৈরী করার জন্য রাইট ইএমএস কর্মী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা এবং তার ডাটা সায়েন্স মেধাকে কাজে লাগিয়েছেন।
তিনি গত বছর এআই কোড তৈরীর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তারপর নিউইয়র্ক সিটির প্রায় দুই দশকের প্রায় ২৪ মিলিয়ন জরুরি ফোনকলের ডাটাবেইজ পরীক্ষা করেছেন।
প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই মডেলের সফলতার হার ৯৪.৫ ভাগ, আর মানুষের চেয়ে ২.২ ভাগ বেশি সফল।
রাইট বলেন, সত্যিকারের ফোনকলকারীরা কাছ থেকে সামান্যই তথ্য দরকার হয় এই ব্যবস্থায়।
তিনি বলেন, “আপনার কেবল একটু বললেই চলবে, ‘বিষয়টি এমন মনে হচ্ছে।’ আর ৯১১ অপারেটরের জিপ কোড কোড, পুলিশ এলাকা এবং দিনের সময় জানা থাকবে। এগুলোর সমন্বয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধারণা করা যাবে যে ফোনকারী কী চাচ্ছেন। আর এর নির্ভুলতার হার ৯৪ ভাগ।”
রাইট বলেন, কানিকটিকাটের ওয়েস্টপোর্টে ইএমএস কর্মী হিসেবে নিজে কাজ করার সময় এ ধরনের একটি প্রোগ্রাম তৈরীর উদ্দীপনা লাভ করেছেন।
তিনি বলেন, অনেক সময়ই সহায়তার জন্য যাকে পাঠানো হয়, তিনি ফোনকারীর সত্যিকারের প্রয়োজন পূরণ করার মতো লোক নয়।
 

শেয়ার করুন: