
ফাইল ছবি
প্রবাসের প্রিয় মুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশিরা ঐতিহ্যগতভাবে মিশুক। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ধারাই অন্য সবার জন্য অনুপম শিক্ষার বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ আমাদের এই বিষয়টিতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে।
তিনি সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতি ইউএসএ ইনকের বার্ষিক বনভোজনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। লং আইল্যান্ডের বেলমন্ট লেক স্টেট পার্কের ওই বনভোজনে সমিতির প্রায় আটশত সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবু জাফর মাহমুদ আরো বলেন, বনভোজনের এমন আয়োজন নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা বিনিময়ের অনন্য এক সুযোগ। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর ¯্রােত ও ঢেউ আমাদের রক্তধারায় যে চেতনা জাগিয়ে দিয়েছে তার ধারাবাহিকতায় আজকের এই মিলন। আমি মনে করি এই বনভোজন আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের একটি মোহনা।
সমিতির সভাপতি কাজী জামান উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী খান, বিশিষ্ট আইনজীবী মিয়া জাকির, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম, বনভোজন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব এমডি জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এম জসিম, সাইদুল ইসলাম বাদল, সরদার মোস্তফা কামাল, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আতাউর রহমান, এমডি মনিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিনসহ বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে জন্ম নেয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সবার প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে বনভোজনটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল দেশি রকমারি খাবারের ব্যবস্থা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমি সন্দ্বীপের সন্তান। আমার কাছে সন্দ্বীপ আর বরিশালের মধ্যে একটি সুগভীর ঐক্য রয়েছে। আমি সমুদ্রের লোনা পানির সঙ্গে এই সম্পর্কের সূত্র খুঁজে পাই। আমাদের পূর্ব পুরুষের মধ্যে এই সম্পর্কের ভীত রচিত হয়েছিল।
আবু জাফর মাহমুদ নতুন প্রজন্মকে বাংলা শেখানোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে যদি বাংলা না শেখাই, তাহলে আমাদের সঙ্গে দু’দিন পর তাদের আর যোগাযোগ থাকবে না। বাবা মাকে যদি সন্তান সম্মান না করে তাহলে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলতে কিছুই থাকবে না। এক্ষেত্রে আমেরিকার অসাধারণ মানবিক কর্মসূচি হোম কেয়ার প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক সুরক্ষার অসাধারণ এক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাটিই আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, যতœ ও দরদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।