মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

১৮ শতকে ওই আইন করা হয়েছিল 

যুদ্ধআইনে ডিপোর্ট : আপিল  আদালতের প্রত্যাখ্যান

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:১৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুদ্ধআইনে ডিপোর্ট : আপিল  আদালতের প্রত্যাখ্যান

ছবি: সংগৃহীত

‘অ্যালাইন এনিমিজ অ্যাক্ট’ (যুদ্ধ আইন হিসেবে পরিচিত) ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলার লোকজনকে বহিষ্কার করার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগকে নাকচ করে দিয়েছে একটি ফেডারেল আপিল আদালত। ট্রাম্প এসব ভেনেজুয়েলানকে অপরাধী চক্র হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এই রায়ের ফলে ব্যাপকভাবে ডিপোর্ট করার ট্রাম্পের উদ্যোগের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিফথ সার্কিট কোর্ট অব আপিলসের তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল ২-১-এ ট্রাম্পের উদ্যোগ রুখে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৮ শতকে ওই আইন করা হয়েছিল এবং তা খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে। ওই আইনটি শত্রু দেশের নাগরিকদের আটক ও ডিপোর্ট করার বিপুল ক্ষমতা দিয়েছে সরকারকে।  তবে তা হবে যুদ্ধের সময়।
দ্রুত ডিপোর্ট করার জন্য ট্রাম্প গত ১৪ মার্চ ১৭৯৮ সালের আইনটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। ফিফথ সার্কিট প্রথম ফেডারেল আপিল আদালত হিসেবে সরাসরি ট্রাম্পের ঘোষণা বাতিল করে দিলো।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন যে দুই বিচারপতি তাদের একজন লেসলি সাউথউইক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। অপরজন হলেন ইরমা ক্যারিলো রামিরেজ। তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আর যে বিচারপতি খারিজ করেননি, তাকে নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসন এখন মামলাটি আবার শুনানির জন্য পুরো পঞ্চম সার্কিটকে অনুরোধ করতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে এসব ভেনেজুয়েলান ট্রেন ডি অ্যারাগুয়ার কুচক্রি সদস্য। তারা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী। তারা মার্কিন ভূখ-ে হানা দিয়েছে।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন অ্যাটর্নি লি গেলার্ন্ট বলেন, ট্রাম্প শান্তির সময় যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করে ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। এটা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রায়। উল্লেখ্য, তিনি আদালতে ভেনেজুয়েলানদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলেও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র তাতে সাথে সাথে সাড়া দেননি।
ফিফথ সার্কিটে মামলাটি উত্থাপন করেন কথিত ট্রেন ডি অ্যারাগুয়ার কয়েকজন সদস্যের একটি গ্রুপ। তাদেরকে টেক্সাসের ব্লুবনেট ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে আটক রাখা হয়েছে। 
গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে এই আইনে অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে তা করতে হবে যেখানে বন্দীদের আটক রাখা হয়েছে, সেখানকার আইনি ডিস্ট্রিক্টে।
আদালত আরো জানিয়েছিল, তারা ডিপোর্ট করার জন্য যুদ্ধ আইনের ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে কোনো রায় দিচ্ছে না।
এরপর থেকে সারা যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জমা পড়ছে।
 

শেয়ার করুন: