
ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ অভিবাসীদের আটক ও ডিপোর্ট করার কথা বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাড়াহুড়া করে ১০ হাজার অফিসার নিয়োগ করছেন। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এই বাহিনীকে নিয়ে সমস্যা নতুন নয়। ২০০০-এর দশকে নিয়োগ করা অনেক সীমান্ত অ্যাজেন্ট কার্টেল মেম্বারে পরিণত হয়েছে। তাদের একজন তার হেফাজতে থাকা একজনকে অপহরণ করেছে, তিন নারীকে ধর্ষণ করেছে। অন্য দুজন ডিউটির বাইরে থাকার সময় খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
এখন যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিহাসের ‘বৃহত্তম ডিপোর্টেশন অপারেশন’ শুরু করতে যাচ্ছেন, তখন তিনি দ্রুতগতিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ার কাজও করছেন। তবে হিউম্যান রাইটস অ্যাডভোকেটস এবং সাবেক ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে এর ফলে অফিসারদের অসদাচরণ এবং সহিংসতা বাড়তে পারে।
নজিরবিহীন ১৭০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলে পুষ্ট হয়ে ডিএইচএস ১০ হাজার নতুন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) অফিসার এবং তিন হাজার কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) অ্যাজেন্ট নিয়োগ করছে। চলতি বছরের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিয়োগপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় সব প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যেমন ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বোনাস, স্টুডেন্ট লোক ৬০ হাজার ডলার দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি নিয়োগের বয়স পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন নজরদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, আইসিই এবং সিবিপির মধ্যে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বাড়ছে। নতুনদের নিয়োগের ফলে এসব আরো বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে।