মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

কার্যকর হয়েছে বাইডেনের নির্বাহী আদেশ

সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী প্রবেশ  উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে 

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:২৩, ১৪ জুন ২০২৪

সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী প্রবেশ  উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে 

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাহী পদক্ষেপে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু সীমিত বিকল্পের কারণে কর্মকর্তারা অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ছেড়ে দিচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সপ্তাহ আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের জন্য ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ আইন জারি করেছিলেন। এর ফলে সীমান্ত অতিক্রমকারীর সংখ্যা ২৫ ভাগে নেমে এসেছিল।

কিন্তু কর্মকর্তারা এখনো অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের ছেড়ে দিচ্ছেন বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সীমান্ত অ্যাজেন্টরা মধ্য এশিয়া থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বদলে মেক্সিকোতে ঠেলে দিচ্ছেন। 
তবে সার্বিকভাবে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমছে। গত সপ্তাহে যেখানে প্রতিদিন চার হাজার লোক সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করত, সেখানে মঙ্গলবার প্রবেশ করেছ তিন হাজার। 
গত ৫ জুন বাইডেনের নির্বাহী আদেশটি জারি হয়।
সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের অনেককে যুক্তরাষ্ট্রে ভেতরেই থাকতে দেওয়ার বিষয়টি। এর ফলে তারা অভিবাসন আদালতে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনার দাবি করতে পারবে বলে ডিএইচএস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অবশ্য সিনিয়র এক ডিএইচএস কর্মকর্তা বলেছেন, গত বুধবার অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা যেসব অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা হয়তো আশ্রয় প্রার্থনার শুনানির সময় অযোগ্য ঘোষিত হবে। ফলে নির্বাহী আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে তারেকে তাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বাইডেনের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট অভিবাসীদেরকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে অভিবাসী কর্মীরা বলছেন, সীমান্তের কিছু কিছু এলাকায় গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস এবং এল সালভাডোর থেকে আসা অভিবাসীদেরকে তাদের দেশে না পাঠিয়ে মেস্কিকোতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। 
ডিএইচএসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, আরো আটককেন্দ্র নির্মাণ এবং বহিষ্কার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা না গেলে সীমান্ত টহল দলগুলোর কাছে কিছুসংখ্যক সীমান্ত অতিক্রমকারীকে ছেড়ে না দিয়ে উপায় থাকছে না। কারণ অন্য সব দেশের অবৈধ অভিবাসীরেকে মেক্সিকো গ্রহণ করতে চাচ্ছেনা।
তবে ওই কর্মকর্তা বলেন, যাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের সংখ্যা বাইডেনের আদেশ জারির আগে যত লোক প্রবেশ করত, তাদের চেয়ে কম।
সান ডিয়েগোতে চলতি বছর চীন এবং পূর্ব গোলার্ধ থেকে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। মেমোতে বলা হয়েছে, সীমান্ত পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলা, গুয়েতেমালা, এল সালভাডোর, হন্ডুরাস এবং মেক্সিকো থেকে আসা অভিবাসীদেরকে মেস্কিকোতেই ঠেলে দিতে। কিন্তু পূর্ব গোলার্ধ থেকে আসা অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এদিকে ডিএইচএসের এক কর্মকর্তা বলেন, বাইডেনের নতুন নীতি কতটুকু কার্যকর হয়েছে, তা বলার সময় এখনো আসেনি।
তবে বর্ডার পেট্রোল ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি বলেছেন, নির্বাহী আদেশের পর অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সংখ্যা কমার যে প্রত্যাশা করা হয়েছে, তা খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না।
ন্যাশনাল বর্ডার পেট্রোল কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেক্টর গারজা বলেন, নতুন নীতি গ্রহণ করা হলে সীমান্ত অতিক্রম কিছুটা কমে। তবে একটু পরেই পাচারকারীরা নতুন কৌশল গ্রহণ করে, মানব পাচার অব্যাহত থাকে।
তিনি বলেন, নির্বাহী ব্যবস্থার ফলে প্রকৃত কোনো পরিবর্তন আসবে না।
 

শেয়ার করুন: