ফাইল ছবি
বিষয়টি অবাক করাই বটে। খোদ নিউইয়র্ক সিটিতে ১৪ শ’ দোকানে অবৈধভাবে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সিটি কাউন্সিলের এক শুনানিতে আইনপ্রণেতারা ‘ওয়াইল্ড, ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সিটি শেরিফ অন্থনি মিরান্ডা ও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইন দিয়ে এসব অবৈধ দোকান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা কঠিন কাজ হবে। পুলিশ লাইসেন্সবিহীনভাবে গাঁজা বিক্রির দোকানকে মাত্র ২৫০ ডলার জরিমানা করেই দায় সারছে।
মিরান্ডা বলেন, সমগ্র নগরীতে অবৈধ স্মক শপ রয়েছে। তিনি ১৪ শ’ দোকানে অবৈধ কার্যক্রম চলে বলে জানান।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে বৈধভাবে গাঁজা বিক্রির দোকান রয়েছে মাত্র একটি এবং আরেকটি আগামী সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে। অথচ বৈধ ও অবৈধ দোকানগুলো নিউইয়র্ক সিটিকে গাঁজায় সয়লাব করে দিচ্ছে।
মেয়র এরিক অ্যাডামস গত বছর অবৈধ গাঁজা বাজারে দমন অভিযান চালানোর জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যমান আইনে কাজ করা খুবই কঠিন। কারণ, লাইসেন্স ছাড়া তথা অবৈধভাবে গাঁজা বিক্রি করা হলে আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী মাত্র ২৫০ ডলার জরিমানা করতে পারে।
ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে গাঁজা বিক্রি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আর তা প্রতিধ্বনিত হয় কাউন্সিল সদস্যদের কথায়। শুনানিকালে একের পর এক কাউন্সিল সদস্য গাঁজা বিক্রির ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেন। এমনকি স্কুলছাত্ররা পর্যন্ত কালোবাজার থেকে গাঁজা ক্রয় করছে।
কাউন্সিলওম্যান ক্যারিলিনা রিভেরা বলেন, স্কুলছাত্ররা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গাঁজা ক্রয় করছে।
আর কাউন্সিলওম্যান গল ব্রেওয়ার বলেন, ‘আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে।’
টহল দলের প্রধান জন শেল বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশ অবৈধ গাঁজা বিক্রি নিয়ে ৯৫১টি অভিযোগ পেয়েছে।
এদিকে স্মক শপগুলোতে ডাকাতিও বেড়ে গেছে। ডাকাতরা এসব দোকানে হানা দিয়ে ১.৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। ৫৯৪টি রেকর্ডভুক্ত দোকানে ডাকাতি থেকে গড়ে আড়াই হাজার ডলার করে লোপাট হয়েছে বলে শেলি জানান।
তিনি বলেন, স্মক শপের ডাকাতির এক-তৃতীয়াংশ করছে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা।