ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের অটো সুরক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, তারা টেসলার মডেল ৩ কমপ্যাক্ট সেডানগুলোর ত্রুটি নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে। জরুরি পরিস্থিতিতে গাড়ির ‘ইমার্জেন্সি ডোর রিলিজ’ বা জরুরি দরজা খোলার নিয়ন্ত্রণগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না কিংবা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত নয়- এমন উদ্বেগের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অফিস অফ ডিফেক্টস ইনভেস্টিগেশন জানিয়েছে, এই তদন্তের আওতায় ২০২২ মডেলের আনুমানিক ১,৭৯,০৭১টি গাড়ি রয়েছে।
মঙ্গলবার এ তদন্ত প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। এর আগে সংস্থাটি একটি অভিযোগপত্র পায় যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, এই গাড়িগুলোর যান্ত্রিক উপায়ে দরজা খোলার ব্যবস্থাটি লুকানো থাকে, কোনো লেবেল বা চিহ্ন দেওয়া নেই এবং জরুরি মুহূর্তে এটি খুঁজে পাওয়া মোটেও সহজ নয়।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান টেসলা এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি।
টেসলার গাড়িগুলো মূলত ইলেকট্রনিক ডোর ল্যাচের ওপর নির্ভরশীল, যা প্রচলিত মেকানিক্যাল হ্যান্ডেলের পরিবর্তে বাটনের মাধ্যমে খোলে। যদিও টেসলা জরুরি অবস্থা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ব্যবহারের জন্য ম্যানুয়াল ডোর রিলিজের ব্যবস্থা রাখে, তবে বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘকাল ধরে যুক্তি দিয়ে আসছেন যে, এই যান্ত্রিক ব্যবস্থাগুলো সবসময় দৃশ্যমান নয় কিংবা যথাযথভাবে চিহ্নিত থাকে না; বিশেষ করে পেছনের সিটের যাত্রীদের জন্য এটি খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।
গত মাসে, উইসকনসিনে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মডেল এস-এর পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় টেসলার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নকশাগত ত্রুটির কারণে বিলাসবহুল সেডানটির দরজা খুলতে না পেরে তারা ভেতরে আটকা পড়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান।
এছাড়া, গত বছরের নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোর শহরতলিতে একটি সাইবারট্রাক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারও অটো নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেখানেও অভিযোগ করা হয়েছে, দরজার হ্যান্ডেলের নকশাগত জটিলতার কারণে তারা জ্বলন্ত গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন।

















