
ছবি: সংগৃহীত
নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মামলার কারণ নিউইয়র্ক রাজ্যের একটি আইন। ওই আইনের কারণে আদালত কক্ষ থেকে লোকজনকে গ্রেফতার করতে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধা দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিচ্ছে, এই আইনের উদ্দেশ্য হলো বিপজ্জনক অপরাধীদের রক্ষা করা।
নিউ ইয়র্ক রাজ্যের কিংবা স্থানীয় নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কয়েকটি মামলা করেছে।
সর্বশেষ মামলাটির ব্যাপারে ইউএস অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আমেরিকানরা এখন ক্যালিফোর্নিয়াতে যে সহিংসতা দেখছে, তার মূলে রয়েছে সেখানকার বিশৃঙ্খল আশ্রয় প্রদান নীতি। নিউ ইয়র্ক রাজ্যও একইভাবে অবৈধ বিদেশিদের আটক করা প্রতিহত করছে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেট নিউ ইয়র্কের ২০২০ প্রোটেক্ট আওয়ার কোর্টস অ্যাক্ট আইনটি। এই আইনের ফলে কোনো বিচারকের পরোয়ানা না থাকলে আদালতে আসা বা আদালত থেকে বের হওয়া কিংবা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেওয়া কোনো ব্যক্তিকে ফেডারেল অভিবাসন কর্মকর্তারা গ্রেফতার করতে পারে না। বিলটির স্পন্সর ডেমোক্র্যাটিক স্টেট সিনেটর ব্র্যাড হলম্যান আইনটি প্রস্তাব করার সময় বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন (প্রথম মেয়াদে) ফেডারেল অ্যাজেন্টদের জন্য নিউইয়র্কের আদালতকক্ষগুলোকে যে ‘হান্টিং গ্রাউন্ড’ বানাতে চাচ্ছে, তা প্রতিহত করার জন্য এই উদ্যোগ।
তিনি সর্বশেষ মামলাটিকে ‘ভিত্তিহীন ও মূর্খতাপূর্ণ’ কাজ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ফেডারেল আদালত কিংবা অভিবাসন আদালতে আইন প্রয়োগ করা যায় না।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যখন মুখোশধারী আইসিই কর্মকর্তারা পুরো রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বেপরোয়াভাবে নিউ ইয়র্কের লোকজনকে গ্রেফতার করছে, তখন এই আইন বিচার পাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই মামলা সরাসরি খারিজ হয়ে যাবে।