
ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসন আদালত থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ১১ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষ। দ্রুততার সাথে বহিষ্কার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে নতুন অভিযান শুরু হয়েছে, তার অংশ হিসেবেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুই বছরের কম সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছে এবং অ্যাটর্নি ছাড়াই আদালতে উপস্থিত হয়েছে, এমন লোকদের মামলা সমাপ্ত করার জন্য সান্তা এনা ও লাস ভেগাসসহ আদালতগুলোর প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা আবেদন জানানোর প্রেক্ষাপটে এই গ্রেফতার হলো। সাধারণভাবে অভিবাসন আদালতে মামলা সমাপ্ত হওয়ার মানে হলো সরকার আর কাউকে বহিষ্কার করার চেষ্টা করবে না। কিন্তু তা না করে আইসিই কর্মকর্তারা ওইসব লোককে গ্রেফতার করার জন্য আদালতকক্ষের বাইরে অপেক্ষায় ছিল। এরপর তাদেরকে দ্রুত বহিষ্কারের প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় বহিষ্কারের জন্য কোনো বিচারকের রায়ের প্রয়োজন হবে না।
এ ব্যাপারে অ্যালায়েন্স স্যান ডিয়াগোর লিগ্যাল রাইটস পরিচালক ও অ্যাটর্নি মাইকেল সেলেরি বলেন, ‘অভিবাসন আদালতে যাওয়ার অর্থ হলো আপনার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়া। এটা আপনার অধিকার। এটি হলো আমাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার অংশবিশেষ।’
তিনি বলেন, এসব লোককে গ্রেফতারের ফলে অন্যরাও অভিবাসন আদালতে যেতে নিরুৎসাহিত হবে।
এ ব্যাপারে আইসিই এবং ইমিগ্রেশন রিভিউর নির্বাহী অফিস মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে চোখের সামনে থেকে প্রিয়জনদের গ্রেফতার করায় অনেক পরিবার সদস্য কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকেই এ ধরনের ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
কর্মকর্তারা আইনজীবীদের বলেছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে স্যান ডিয়াগোর অটায় মেসা ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।