ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটির স্কুলগুলো আবার বিতর্কিত মহামারি-যুগের নীতিতে ফিরে যাচ্ছে। ফলে প্রত্যাশার চেয়ে কম শিক্ষার্থী পাওয়া স্কুলগুলোকে তাদের বাজেট ছাঁটাই করতে হচ্ছে না। অনেক বিশেষজ্ঞ একে ব্যর্থতাকে পুরস্কৃত করা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটি স্কুল সিস্টেমের ১,৬০০ স্কুলের মধ্যে অর্ধেকের তাদের মধ্য-বার্ষিক বাজেট সমন্বয়ের পর ১৫৭ মিলিয়ন ডলার ছাঁটাই করার কথা ছিল। আর ছাত্র বেশি হওয়া বাকি অর্ধেক স্কুল মোট ১৪৬ মিলিয়ন ডলার বেশি পাওয়ার কথা ছিল। নতুন ব্যবস্থায় তা হচ্ছে না।
স্কুলস চ্যান্সেলর মেলিসা আভিলেস-রামোস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রতিটি স্কুল যাতে তাদের মিশন সম্পন্ন করতে পারে, আমাদের সন্তানরা যাতে জীবনব্যাপী সাফল্যের পথে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়।’
ছাত্র ভর্তির ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি স্কুলের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ছাত্রের জন্য প্রায় ৩০ হাজার ডলার করে ব্যয় করে।
কোভিড মহামারির সময় সিটি হল ‘হোল্ড হার্মলেস’ নীতি বাস্তবায়ন করেছিল। ছাত্র কম হলেও স্কুলগুলো যাতে অর্থ না হারায়, সেজন্য বাজেট পূরণের জন্য ফেডারেল অর্থ ব্যয়ের ব্যবস্থা ছিল। এখন ওই নীতিতেই ফিরে যাওয়া হচ্ছে।
ওই নীতিতে ফিরে যাওয়ার মেয়র এরিক অ্যাডামসের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সমালোচকেরা বলছেন, এতে আসলে ‘ব্যর্থতাকেই পুরস্কৃত’ করা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, এটি ¯্রফে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।
সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ এবং ওই সময়ের চ্যান্সেলর জোয়েল ক্লিনের ডিওইর ডেপুটি চ্যান্সেলর এরিক নাদেলস্টার্ন বলেন, ‘স্কুল সিস্টেম ব্যর্থতাকে পুরস্কৃত করেছে, আর সফলতাকে -িত করছে। আগের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এর পরম নজির। এতে ব্যর্থতাকে শাস্তি ওেয়ার বদলে পুরস্কৃত করছে।’
সরকারি নজরদারি প্রতিষ্ঠান এম্পায়ার সেন্টার ফর পাবলিক পলিসির গবেষণা পরিচালক কেন গিরারডিন বলেন, ‘হোল্ড হার্মলেস’ নীতি বিদ্যমান পরিস্থিতি অটুট রাখবে, এটি ছাত্র বা করদাতাদের তা করবে না।
তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা স্কুল প্রশাসক, শিক্ষক ইউনিয়নকে উপকৃত করবে। আর ক্ষতির মুখে পড়বে শিশু ও করদাতারা। এর মাধ্যমে সম্পদের আরো দক্ষ ব্যবহারকে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেয়রের অফিস থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।