ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থদানের মূল লক্ষ্য হ্যারিসের প্রচারের জন্য নির্ধারিত ফান্ড-রাইজিং গ্রুপ ‘ফিউচার ফরওয়ার্ড’-কে সমর্থন করা। বিল গেটস অর্থ সহায়তা এই তথ্য গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। তবে অর্থ সহায়তা দিলেও প্রকাশ্যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হ্যারিসকে সমর্থন করেননি তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গেটস ব্যক্তিগত ফোন কলের মাধ্যমে বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে, তার ফাউন্ডেশন ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ এর পরিবার পরিকল্পনা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে সম্ভাব্য কাটা-ছাঁটাকে কেন্দ্র করে শঙ্কা রয়েছে।
যদিও গেটস বলেছেন, তিনি যে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই নির্বাচন অতীতের থেকে ভিন্ন।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি সেই প্রার্থীদের সমর্থন করি যারা স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেয়।’
গেটস আরও বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যা শুধু আমেরিকার জন্যই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্যও অনেক বড় গুরুত্ব বহন করে।’
ফ্রান্স ২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস কমালা হ্যারিসের প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বিশেষ করে এআই এবং প্রযুক্তি বিষয়ে তার অগ্রগতির চিন্তাভাবনাকে। গেটসের মতে, যুব প্রার্থীরা নতুন প্রযুক্তির বিষয়গুলো ভালোভাবে বোঝেন।
গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। ফোর্বসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৮১ জন বিলিয়নিয়ার হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন, তবে বিশ্বের অন্যতম ধনী ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।