সমস্বরের আবৃত্তি ও কর্মশালায় ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরিচালনা ও পরিবেশনায় ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন ও প্রধান সমন্বয়ে ছিলেন ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সবার পরিচিত দক্ষ স্বনামধন্য আবৃত্তিশিল্পী এবং সমস্বরের প্রধান কাণ্ডারী অদিতি সাদিয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান এবং আবৃত্তিশিল্পী ইকবাল বাহার চৌধুরী, বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্যপরিচালক লায়লা হাসান, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সবার পরিচিত লেখক, জার্নালিস্ট ও কবি আনিস আহমেদ।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানান অদিতি সাদিয়া রহমান। তিনি সংক্ষিপ্তভাবে আয়োজনের ভূমিকা দিয়ে সমস্বরের উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করেন। সমস্বর সম্পর্কে বলতে গিয়ে অদিতি সাদিয়া রহমান উল্লেখ করেন যে, মূলত সমস্বর অত্র এলাকায় শুদ্ধ উচ্চারণ এবং আবৃত্তি চর্চা ও প্রশিক্ষণের ওপর কাজ করে যাচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরে, এমনকি কোভিড অতিমারির সময়েও অব্যাহত ছিল তাদের কার্যক্রম। সমস্বর অন্তর্জালে আয়োজন করেছেন বেশ কিছু আবৃত্তি অনুষ্ঠান ও আবৃত্তির ওপর প্রশিক্ষণ, যেখানে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, কবি আসাদ চৌধুরী এবং কবি আনিস আহমেদ। অনুষ্ঠানে সমস্বরের বিগত সময়ের আয়োজনের ওপর সংক্ষিপ্ত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইকবাল বাহার চৌধুরী সমস্বরের এমনি চমৎকার উদ্যোগের প্রশংসা করে তাদের অভিনন্দন জানান এবং তাঁর জীবনের কিছু খণ্ড স্মৃতিচারণ করেন পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে পরবর্তীতে কিভাবে তিনি বিভিন্নভাবে আবৃত্তিচর্চায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।
এরপর অদিতি সাদিয়া রহমান অতিথি আবৃত্তিশিল্পী ও কর্মশালার পরিচালক, স্বনামধন্য ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিচয় করিয়ে দেন সবার সাথে। ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চারণ ও শব্দ প্রক্ষেপণের কৌশলসহ আবৃত্তিশিল্পের বিভিন্ন দিকের ওপর সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করেন এবং বাংলা বানান ও উচ্চারণের বিভিন্ন সূত্রের উল্লেখ করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে উচ্চারণের পার্থক্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এপর্বে শ্রোতাদর্শকদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি খুব জমে উঠেছিল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ড.ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় এবং অদিতি সাদিয়া রহমানের যুগল পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত চমৎকার এবং পুরো অনুষ্ঠানটিই একটি নান্দনিক আয়োজন হিসেবে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে।