ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল বাজেটের ফলস্বরূপ প্রায় ১ মিলিয়ন নিউইয়র্কবাসী স্বাস্থ্য কভারেজ হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ পরিবর্তনটি শহরের কঠিন অবস্থায় থাকা সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করবে।
রাজ্যের কম্পট্রোলার টমাস ডিন্যাপোলি বুধবার একটি প্রতিবেদনে বলেছেন যে, ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ -এর অংশ হিসেবে কার্যকর হওয়া যোগ্যতার পরিবর্তনগুলোর কারণে আনুমানিক ৮ লাখ নিউইয়র্ক সিটি বাসিন্দা মেডিক এইড কভারেজ হারাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত আরো দেড় লাখ বাসিন্দা সম্ভবত রাজ্যের এসেনশিয়াল প্ল্যান থেকে কভারেজ হারাবেন, যা নি¤œ-আয়ের নিউ ইয়র্কবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
ডিন্যাপোলি প্রতিবেদনে বলেছেন, বীমাহীন নিউ ইয়র্কবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের ১১টি সরকারি হাসপাতাল নিয়ে গঠিত স্বাস্থ্য ও হাসপাতাল সংক্ষেপে এইচ+এইচ ব্যবস্থার উপর এর অসম প্রভাব পড়বে।
ডিন্যাপোলি বলেন, ফেডারেল কাটছাঁট এবং মেডিক এইড যোগ্যতার পরিবর্তন ‘সংস্থাটির মুনাফার উপর আঘাত হানবে, এমনকি যখন ক্রমবর্ধমান বীমাহীন জনসংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি রোগীদের এর সুবিধাগুলিতে ঠেলে দেবে।’ তিনি আরো বলেন, বীমাহীনতার হারে যেকোনো বৃদ্ধি ‘এইচ+এইচ-এর জন্য একটি আর্থিক বোঝা তৈরি করবে, কারণ রোগীর অর্থ প্রদানের ক্ষমতা নির্বিশেষে যতœ প্রদান করাই এর প্রাথমিক লক্ষ্য।’
এইচ+এইচ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থা, ইতিমধ্যেই শহরের মেডিক এইড এবং বীমাহীন রোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে পরিষেবা দেয়, যার মধ্যে বহু অনিবন্ধিত অভিবাসীও রয়েছে। গত বছর, এইচ+এইচ হাসপাতালগুলোতে রোগী মুক্তির ৮৪% ছিল মেডিকেয়ার এবং মেডিক এইড রোগীরা, এবং এই ব্যবস্থার রাজস্বের ৭২% এসেছিল মেডিক এইড বা এসেনশিয়াল প্ল্যান থেকে।
এইচ+এইচ ব্যবস্থা দীর্ঘকাল ধরে এর অর্থ স্থিতিশীল করতে সংগ্রাম করে আসছে। ২০১৬ সাল থেকে, এটি একটি সঞ্চয় পরিকল্পনার উপর কাজ করছে যা পরিপূরক ফেডারেল মেডিক এইড পেমেন্ট পাওয়ার জন্য শহরের ক্ষমতার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ডিন্যাপোলি বলেন, এই পেমেন্টগুলি অস্থির, কারণ সেগুলোকে রাজ্য এবং ফেডারেল সরকার কর্তৃক অনুমোদন করাতে হয় এবং সেগুলো ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রায়ই বিলম্বিত’ হতে পারে।
ডিন্যাপোলি বলেছেন, ‘এইচ+এইচ সম্ভবত তার ব্যয়-হ্রাসের পরিকল্পনাগুলি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে যা পরিষেবাগুলোর একত্রীকরণ এবং/অথবা বাতিল করার মতো কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের জন্ম দিতে পারে।’

















