বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

 ইউক্রেন পুনর্গঠনে ৪১ হাজার কোটি ডলার লাগবে: বিশ্বব্যাংক  

ঢাকা অফিস:

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২৪ মার্চ ২০২৩

 ইউক্রেন পুনর্গঠনে ৪১ হাজার কোটি ডলার লাগবে: বিশ্বব্যাংক  

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া–ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে এক বছর ধরে। এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেন পুনর্গঠনে আগামী ১০ বছরে ৪১ হাজার ১০০ কোটি (৪১১ বিলিয়ন) ডলার ব্যয় করতে হবে বিশ্বব্যাংককে। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এর মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার ইউক্রেনের গ্রাম ও শহরগুলো থেকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় করতে হবে।

 বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদন গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমানের ভিত্তিতে অর্থের এ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যত দিন যুদ্ধ চলবে, অর্থের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। তাই এ পরিমাণকে ন্যূনতম বিবেচনা করা উচিত।
 ইউক্রেন সরকার, ইউরোপীয় কমিশন ও জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংকের অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনে ৩৪ হাজার ৯০০ কোটি (৩৪৯ বিলিয়ন) ডলার লাগবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে রুশ হামলায় ইউক্রেনে প্রায় ৪০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য খাতের পাঁচটি ভবনের মধ্যে একটি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ৬৫০টি অ্যাম্বুলেন্স চুরি হয়েছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলমান যুদ্ধে ৪৬১ শিশুসহ সাড়ে ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে।
বিশ্বব্যাংকের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্না বিজেরদে গতকাল বলেন, ইউক্রেনের পুনর্গঠনে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো মেরামতে চলতি বছর ১ হাজার ৪০০ কোটি (১৪ বিলিয়ন) ডলার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে একটি চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির আওতায় চার বছর ধরে ইউক্রেনের পুনর্গঠন তহবিলে ১ হাজার ৫৬০ কোটি (১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন) ডলার জোগান দেবে আইএমএফ।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে ড্রোন ও বিমান হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। বিশেষত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশবাহিনী। রুশ হামলা থেকে বাদ যায়নি বিদ্যালয়-হাসপাতালের মতো বেসরকারি স্থাপনাও।

ধারাবাহিক হামলার পরও সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন সরকার। খোলা রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যুদ্ধের মধ্যেও শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন ও ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে পেনশনও।

শেয়ার করুন: