
ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অপরাধ দমনের কথা বলে ওয়াশিংটন ডিসিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে মাসব্যাপী অভিযানে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের ৪০ ভাগেরও বেশি অভিবাসনের সাথে সম্পর্কিত।
সংবাদ সংস্থা এপির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে ট্রাম্প প্রশাসন আসলে তাদের কঠোর ইমিগ্রেশন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজই বহাল রেখেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ডিসির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর তারা ২,৩০০-এর বেশি লোককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক ডজনেরও বেশি রয়েছে সম্ভাব্য খুনি, ২০ জন সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য। এছাড়া মাদক ও বন্দুকবাজির সাথে জড়িত শত শত লোক রয়েছে। আর ২২০টির বেশি অবৈধ বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।
কিন্তু এসব দাবি সত্ত্বেও গ্রেফতারের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। সংখ্যাটি ৯৪০-এর বেশি। আর এতে করে এই অভিযোগ জোরদার হয়েছে যে এই অভিযান আসলে ডিপোর্ট কার্যক্রমের সম্প্রসারিত অংশমাত্র।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যামিকা সেন্টা ফর ইমিগ্রেশন রাইটসের ম্যানেজিং অ্যাটর্নি অস্টিন রোজ বলেন, ‘আসলে ফেডারেল ইমিগ্রেশন বাস্তবায়নের জন্যই ফেডারেল নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এটি আসলে ইমিগ্রেশন দমন অভিযান।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যঅবিগাইল জ্যাকসন দাবি করেছেন, অপরাধীদেরই কেবল গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে ঠিক কতজনকে অভিবাসনের সাথে সংশ্লিষ্টহীনভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার কোনো হিসাব দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এপির সমীক্ষায় দেখা গেছে, অভিবাসন-সংশ্লিষ্ট কারণে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মাত্র ২২ শতাংশ অপরাধের সাথে জড়িত। সেসব অপরাধও বেশ ছোটখাট। এ কারণেও অভিবাসনের বিষয়টি বেশ গুরুতর হয়ে ওঠেছে।