ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে নিউইয়র্ক সিটির নব-নির্বাচিত মেয়র জোহারান মামদানির সম্প্রতি হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি সফল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়ার পেছনে তার দেওয়া পরামর্শের বড় ভূমিকা ছিল।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং নব-নির্বাচিত মেয়র মামদানির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক মাস ধরে এই দুই নেতার মধ্যে তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণ ও মতাদর্শগত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও, বৈঠকটি অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।
গভর্নর হোকুল একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনিই মামদানিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন কিভাবে ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে হবে। হোকুল মনে করেন, তার পরামর্শের ফলেই নিউইয়র্ক সিটি এখন ‘আরো ভালো অবস্থানে’ আছে।
হোকুল মামদানিকে নিশ্চিত করতে বলেছিলেন যে, ট্রাম্প যেন তার (মামদানির) নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখেন। এই আস্থার মাধ্যমে নিউইয়র্ক সিটির স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হস্তক্ষেপ’ এড়ানো ছিল প্রধান লক্ষ্য। হোকুল বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রাম্পের মনে এই বিশ্বাস গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন যে ‘আমাদের কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’
মেয়র নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্প বারবার হুমকি দিয়েছিলেন যে মামদানি নির্বাচনে জিতলে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করে দেবেন। তাই এ বৈঠকটি সিটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উভয় নেতা তাদের তীব্র রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও, সাশ্রয়ী মূল্যে জীবনধারণ, অপরাধ দমন এবং আবাসনের মতো বিষয়গুলোতে সাধারণ ঐকমত্য খুঁজে পান।
ট্রাম্প বৈঠক শেষে মামদানির প্রশংসা করেন এবং বলেন যে ‘আমি যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি বিষয়ে আমরা একমত।’

















