ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ‘গণবহিষ্কার’ কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ১১ মিলিয়ন অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেবেন। আর কাজটি করবেন, আইনগত বাধ্যবাধকতা ছাড়াই।
ট্রাম্প এ ধরনের কাজ করার প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিলেন। কিন্তু কারিগরি সহায়তা এবং আইনি বাধার কারণে তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর কাজটি করতে পারেননি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াইহো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক সিজার গারসিয়া হারনানজেদ বলেন, এবার ট্রাম্প অভিজ্ঞ। তিনি জানেন, কিভাবে ‘বিশাল আমলাতন্ত্রকে কাজে লাগানো যায়।’
তিনি বলেন, এবার আইনগত বাধাও থাকবে কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয়বার ট্রাম্প নির্বাচিত হলে জনমতও তার অনুকূলে থাকতে পারে। বয়স্কদের বিচার করার জন্য অভিবাসীদের কাছ থেকে তাদের সন্তানদের আলাদা করার নীতির প্রতিও সমর্থন পেতে পারেন ট্রাম্প।
ইউএস টুডে/সাফোক ইউনিভার্সিটি জরিপে দেখা গেছে, ৪৫ ভাগ জবাবদাতা ট্রাম্পের গণবহিষ্কার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে, আর বিরোধিতা করেছে ৪৯ ভাগ। আর ৪ ভাগ দ্বিধায় রয়েছে।
ট্রাম্প এখনো তার গণবহিষ্কারের পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেননি। তবে ইউএসএ টুডে ট্রাম্প এবং তার সাবেক উপদেষ্টা ও প্রশাসকদের বক্তৃতা, সাক্ষাতকার পর্যালোচনা করে যেসব তথ্য পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে :
ক্স অভিবাসীদের সুরক্ষা প্রদানকারী বিদ্যমান আইন এড়াতে জরুরি ও নির্বাহী আদেশের ব্যবহার।
ক্স অ্যালায়েন ইনিমিস অ্যাক্টের ব্যবহার করা। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি, জার্মান ও ইতালিয়ান বংশোদ্ভূতদের আটক করার বিধানগুলো কাজে লাগানো।
ক্স অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার জন্য স্থানীয় ও রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা, বিশেষ করে রিপাবলিকান এলাকাগুলোতে।
ক্স অভিবাসীদের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ডকে ব্যবহার করা।
তবে এই কাজে ব্যয়ও হবে অবিশ্বাস্য মাত্রায়। বছরে ১০ লাখ লোককে বহিষ্কার করতে বছরে ব্যয় হবে ৮৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যান্য কাজ করার জন্য আরো অর্থের প্রয়োজন পড়বে।
পিউ রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। এদের বেশিভাগ অবশ্য কোনো অপরাধ করেনি।