শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাপ্তাহিক নবযুগ :: Weekly Nobojug

‘৩৪টি অভিযোগের সবই যথার্থ’

ফৌজাদারি মামলায় ট্রাম্প দোষী  সাব্যস্ত

নবযুগ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:২০, ৩১ মে ২০২৪

ফৌজাদারি মামলায় ট্রাম্প দোষী  সাব্যস্ত

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবই যথার্থ বলে আদালত রায় দেয়। তবে তাকে সম্ভবত কারাগারে যেতে হবে না বা নির্বাচন থেকেও সরতে হবে না। ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাকে কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করা হলো।

আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকে সম্ভবত কারাদ- না দিয়ে জরিমানা করা হতে পারে।
নিউইয়র্ক আদালতের ১২ সদস্যের জুরি ট্রাম্পকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনিভাবে প্রভাবিত করার লক্ষে তার ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই প্রক্রিয়ায় এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। নিউইয়র্কের ম্যানহাটভনে দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই মামলার শুনানি চলে। তারা ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শোনেন। জুরিরা সবাই নিউইয়র্কের বাসিন্দা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তিনি এর আগে অন্য কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অন্য মামলাগুলোর রায় হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
ট্রাম্প আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী। ফলে তাকে একজন অপরাধী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হবে। আগামী সপ্তাহেই তিনি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অর্থ সংগ্রহের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। এই রায় ভোটাররে কতটুকু প্রভাবিত করবে, তাই এখন দেখার বিষয়।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প শিগগিরই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, এটি তার জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করবেন।
অন্যদিকে ট্রাম্পকে কারাদ- দেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে মামলার বিচারক হুয়ান মেরশানের কয়েক মাস লাগতে পারে। 
ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতি করার অভিযোগে চার বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে। তবে বাদিপক্ষের আইনজীবীরা এখনো তারা কারাদ- চাননি। আর তারা তা চাইলেই বিচারক তা মঞ্জুর করবেন, তাও নিশ্চিত নয়। তবে দোষী সাব্যস্ত করার রায় এবং কারাদ-ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। স্টর্মির হাতে ওই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। মুখ বন্ধ রাখার জন্য অর্থ প্রদান করা মার্কিন আইনে অন্যায় কোনো কাজ নয়। তবে ব্যবসায়িক নথিপতে তা গোপন করা বেআইনি। এখানেই ট্রাম্প ফেঁসে গেছেন। ট্রাম্প অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
 

শেয়ার করুন: