
মেয়ের স্বাক্ষীতে প্রতারণা মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর্তনাদ
নিজের ‘অপূর্ব, সুন্দরী’ মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পও যখন প্রতারণা মামলায় বুধবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন, তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর্তনাদ করে ওঠলেন। সাক্ষী না দিতে চেষ্টা করেছিলেন ইভাঙ্কা। কিন্তু পারেননি। তবে কেবল তিনিই নন। তার আগে ট্রাম্পের দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকও সাক্ষী দিয়েছেন।
এই সাক্ষীগ্রহণ পর্ব আরো কিছু সময় ধরে চলবে।
ইভাঙ্কা, ৪১, চেষ্টা করেছিলেন ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ এড়িয়ে যেতে। কিন্তু বিচারপতি আর্থঅর এনগোরন এবং পরে আপিল আদালত তার ওই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
মধ্যরাতের পর ট্রুথ সোস্যাল পোস্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তার ‘অপূর্ব, সুন্দরী’ মেয়েকে ‘নিউইয়র্কে খুন আর সহিংস অপরাধ বেড়ে ওঠার সুযোগদানকারী নিউইয়র্ক সিটির দুর্নীতিপরায়ণ ও বর্ণবাদী অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিশিয়া পিকাবু জেমস’ তলব করেছে।
তিনি এখানে না থেমে আরো বলেন, এরগোরন হলেন, ‘নিয়ন্ত্রণহীন ক্লাবহাউসের নিয়োগ করা বিচারপতি, যিনি বিচার শুরু হওয়ার আগেই আমার বিরুদ্ধে আক্রোশপূর্ণ রায় দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, এখন তারা ইভাঙ্কাকে মামলায় আনার চেষ্টা করেছে, যদিও আপিল আদালত রায় দিয়েছিল যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে না। দুঃখজনক ব্যাপার!
ব্যবসায়ী ও তিন সন্তানের জননী ইভাঙ্কাও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আসামি ছিলেন। তবে জুনে তার বিরুদ্ধে আনা প্রমাণের ঘাটতি থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।
ইভাঙ্কার আইনজীবী বেনেট মোসকোবিজ গত মাসে যুক্তি দেন, তিনি ২০১৭ সাল থেকে নিউইয়র্কে থাকেন না বা কাজ করেন না।
ট্রাম্পের আইনজীবী ক্রিস্টোফার কিস উল্লেখ করেন, আদালতে ইভাঙ্কার উপস্থিতি বিচারকাজে আরেকটি ‘সার্কাস ডে’ সৃষ্টি করবে।
তবে এজি আইনজীবী কেভিন ওয়ালেস যুক্তি দেন যে ‘ট্রাম্প অর্গাইনাইজেশনের সাথে ইভাঙ্কা ‘ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত।’