
ছবি: সংগৃহীত
চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আবারো চালু হতে যাচ্ছে ডাকা (ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস) আবেদনের প্রক্রিয়ায়। ওবামা আমলের এই কর্মসূচিতে শিশু অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আগমনকারীদের বহিষ্কার থেকে সুরক্ষা এবং ওয়ার্ক পারমিটের সুযোগ দেওয়া হয়।
এবারের এই কর্মসূচিটি টেক্সাস ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সব জায়গায় কার্যকর হবে। আর টেক্সাসের যারা ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছে, তাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কর্মসূচিটি বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়ার বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছিল, তা এখনো চলছে।
এ ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি।
এ ব্যাপারে ইউনাইটেড উই ড্রিমের ফেডারেল অ্যাডভোকেসির ডেপুটি ডিরেক্টর জুলিয়ানা ম্যাসেডো বলেন, এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন চলছে। এর সমাধান দরকার।
বতৃমানে সোয়া পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসীর আবেদন জমা রয়েছে ডিএসিএ কার্যক্রমে। এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি ১৬ বছর বয়সের আগে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন এবং হাই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েট হয়েছিলেন কিংবা সামরিক বাহিনী থেকে সম্মানজনকভাবে বিদায় নিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি ভয়াবহ কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না।
কয়েক বছর ধরে এই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রথম মেয়াদের সময় ট্রাম্প কর্মসূচিটি বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ২০২০ সালে রায় দেয় যে কেন এই কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত, তার কোনো যৌক্তিক কারণ প্রশাসন দেখাতে পারেনি। আদালত এই কার্যক্রমের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে জো বাইডেন কর্মসূচিটি অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিলেও ২০২১ সালে নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। এখন আবার নতুন আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।