
ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটির বিলিয়নিয়ার্স বরোর বাসিন্দারা ‘বিপর্যয়কর’ ভাড়া বৃদ্ধি থেকে তাদেরকে রক্ষার আবেদন করেছেন। অতিবিলাসবহুল মিডটাউন ভবনের বাইরে সমবায়ভিত্তিক বাড়ির মালিকরা সমবেত হয়ে এই আবেদন জানিয়েছেন।
কো-অপের বাসিন্দারা এখন ৪৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ফলে উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্কে পড়েছেন। বিলিয়নিয়ার্স রোতে এখন এটিই একমাত্র সাশ্রয়ী ভবন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিপুলভাবে ভাড়া বাড়ানোর ফলে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কো-অপের গ্রাউন্ড লিজ নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে সমস্যার। বাসিন্দারা ভেতরে তাদের অ্যাপার্টমেন্টগুলোর মালিক হলেও যেখানে ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে, সেই জায়গার মালিক নন।
এখানকার অনেক বাসিন্দা মনে করছেন, ভাড়া বাড়তে থাকলে তাদের পক্ষে এখানে তো নয়ই, এমনকি খোদ নিউ ইয়র্ক সিটিতেই তাদের থাকা দায় হয়ে পড়বে।
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে কার্নেগি হাউসে বসবাসকারী সুসান ডেল বিক্ষোভে বলেন, ‘সব জায়গায় রাজনীতিবিদরা ন্যায্য ও সাশ্রয়ী দামে বাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। আমরা এখানে সাশ্রয়ী বাড়িতে আছি। আমরা যা চাই তা হলো, এটা কেবল রক্ষা করা।’
কার্নেগি হল লিজের বর্তমান ল্যান্ডওনার ২০১৪ সালে ২৬১ মিলিয়ন ডলারে গ্রাউন্ড লিজ ক্রয় করেন। এর সাথে রবিন শরন ও ডেভিড ওয়ার্নারের বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ২০২৩ সালে মাইকেল ডেলের এমএসডি পার্টনার্সের কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কো-অপ এবং ল্যান্ডওনারদের মধ্যকার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর একজন নিরপেক্ষ আর্বিট্রেটর জুলাই মাসে রায় দেন যে জমির মালিকরা বর্তমান ভাড়া ৪.৩৬ মিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ডলার করতে পারবেন।
তবে এটাকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কলিন্স ডবকিন অ্যান্ড মিলারের এক অংশীদার টম কলিন্স।
তিনি বলেন, ‘এটা পাহাড় থেকে ঝাঁপ দেওয়ার মতো বিষয়। এটা হলো ভাড়াটেদের উচ্ছেদের মতো বিষয়।’
বাসিন্দারা যদি তাদের মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ না বাড়াতে পারেন তবে ভবনটি রেন্ট-স্ট্যাবিলাইজড অ্যাপার্টমেন্টে পরিণত হতে পারে।