
ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী না পেলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমেরিকান শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল কম থাকবে এবং আমেরিকান শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। তথ্যে দেখা যায়, বিদেশি বংশোদ্ভূত ছাড়া আমেরিকান জনমিতির চিত্র খুবই ফ্যাকাশে।
আমেরিকার বর্তমান যে জনসংখ্যার চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে করে কেবল তাদের কেন্দ্র করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা কঠিন। অর্থাৎ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নির্ভর করছে অভিবাসন নীতির ওপর।
ট্রাম্প প্রশাসন এখন যে নীতি গ্রহণ করছেন, সেটাকে শিক্ষাবিদেরা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অভিবাসী, আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং অভিবাসীদের সন্তানদের ছাড়া আমেরিকার আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৩৭ সালে হবে ২০২২ সালের চেয়ে প্রায় ৫ লাখ কম। এটি হবে বর্তমান আকারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংম। আর গ্রাজুয়েট ছাত্রের সংখ্যা হবে অন্তত ১১ লাখ কম তথা বর্তমান আকারের মাত্র প্রায় ৬০ শতাংশ।
সমীক্ষাটির পরিচালক, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ফ্লোরিডার অর্থনীতির অধ্যাপক ম্যাডেলিন জাভোদনি জানান, জনসংখ্যাগত কারণেই বিদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনসংখ্যাগত বাধার মুখে পড়তে যাচ্ছে। ২০০৭-পরবর্তী জন্মহারের কারণে ২০২৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কলেজ-বয়সী তরুণদের সংখ্যা কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক ছাত্র দরকার
২০২৫ ও ২০২৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কলেজগামী জনসংখ্যা ১৫ শতাংশ কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই সংখ্যা পূরণ করতে পারে অভিবাসীদের সন্তান ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ইয়েল বা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে না। বরং মধ্যমানের এবং গ্রামীণ এলাকায় থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে চাইবে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ছোট, কম পরিচিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে সমস্যায় পড়বে।
ওয়াশিংটন টাইমসের মতো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুল ইতোমধ্যেই আর্থিক সমস্যায় পড়ে গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেক স্কুলের টিউশন রাজস্ব ১৯৮০ সাল থেকেই কমছে। এর একটা বড় কারণ, ভর্তি হচ্ছে কম।