
ছবি: সংগৃহীত
নিজের মক্কেলের ডিপোর্টেশনে বাধা দেওয়ার চেষ্টাকারী এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। আর এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন মাস ডিপোর্টেশন কার্যকর করার পদক্ষেপ জোরদার করছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে যশুয়া শ্রোয়েডার নামের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক অ্যাটর্নি আদালতে বেশ কিছু আবেদনের মাধ্যমে তার মক্কেলের ডিপোর্টেশন কিছু সময়ের জন্য বিলম্ব করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার মক্কেল ছিলেন লাওসের হ্যামং জাতিগোষ্ঠীর এক ব্যক্তি। অবশ্য, শেষ পর্যন্ত তার ডিপোর্টেশন আটকানো যায়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন এবার শ্রোয়েডারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন দাখিল করেছে। তারা দাবি করেছে, ওই আইনজীবী অযথা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, জেনেবুঝেই দায়িত্বহীন ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে ‘বড় অঙ্কের’ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।
‘অভিবাসন আইন বাস্তবায়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন উদ্ভট আচরণে’ নিয়োজিত আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দমন অভিযান পরিচালনা করার ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির পর বিচার বিভাগের এই উদ্যোগ দেখা গেল।
প্রেসিডেন্ট গত মার্চে একটি স্মারকে সই করেছেন। এতে সরকারের বিরুদ্ধে ‘তুচ্ছ, অযৌক্তিক ও উত্যক্তকারী’ মামলাকারী আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
তবে মানবাধিকার প্রবক্তা ও অধিকার সংগঠকরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই নীতির ফলে অভিবাসন আইনজীবীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ট্রাম্প তার এজেন্ডা বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।
মার্চের মেমোর পর শ্রোয়েডারই সম্ভবত আইনজীবী মার্কিন প্রশাসনের টার্গেট হওয়া প্রথম ব্যক্তি। তিনি মিডিয়াকে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাদের শত্রু মনে করেন, সেইসব লোকের সাথে জড়িত বড় আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে এই নির্দেশের মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, এটি একইসাথে একটি বৃহত্তর কৌশলেরও অংশ।
শ্রোয়েডারের ওই মক্কেল শিশুকালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। পরে একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় কিছু সময় কারাগারে ছিলেন। এপ্রিলে হেফাজতে নেওয়ার সময় তিনি ওকলাহোমায় তার স্ত্রীর সাথে বসবাস করছিলেন।
শ্রোয়েডার যুক্তি দেন যে তার মক্কেল ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করায় লাওসে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।