
ছবি: সংগৃহীত
লং আইল্যান্ডের একটি নির্মাণ প্রকল্পে লাখ ডলারের একটি যান্ত্রিক কুকুর মোতায়েন করা হয়েছে। বে শোরের সাউথ শোর হাসপাতালের নতুন শাখা নির্মাণের সাথে জড়িত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় টহল দিয়ে বেড়াবে এই রোবো-ডগ।
সাফোক কনস্ট্রাকশন্সের অ্যাডাম ফাইরার বলেন, ‘এটা মনোবল চাঙ্গাকারী ব্যবস্থা।’
তিনিই বোস্টন ডাইনামিক্সের নির্মাণ করা অত্যাধুনিক রোবোটিক কুকুরটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশের অনেক মানুষ স্বচোক্ষে এ ধরনের প্রযুক্তি দেখেনি। আমার মনে হয়, তারা এতে কাজে আসতে উদ্বুদ্ধু হবে।’
স্পট নামের কুকুরটির প্রধান নজর থাকবে নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনটির দিকে। একজন ম্যানেজার যেভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে হাজির হয়ে দেখাশোনা করে থাকে, সেভাবেই সে দায়িত্ব পালন করবে। উল্লেখ্য, প্রায় ১০০ নতুন রোগীর জন্য হাসপাতালটির এই শাখাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
ফাইরার বলেন, এ কুকুরটির মাধ্যমে অনেক বেশি নির্ভুল ও অব্যাহত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।
হলুদ ও কালো রঙের যান্ত্রিক কুকুরটি চলাচল করবে লিথিয়াম-আয়নযুক্ত ব্যাটারিতে। সে একটানা ৯০ মিনিট পর্যন্ত দৌড়াতে পারবে। তাছাড়া যাত্রাপথে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বাধা এলে সে নিজেই ঘুরপথে চলাচল করতে পারবে।
ফাইরার বলেন, ‘এটি একইসাথে বুদ্ধিমানও। সে খুব সহজেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামাও করতে পারবে।’
স্পটের ভেতরে থাকা ক্যামেরা তাকে সেফটি কোড লঙ্ঘনকারী শ্রমিকদের শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। কেউ চাকরিবিধি লঙ্ঘন করছে কিনা সেটাও তার নজরে আসবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনোদ নাইয়ার বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে আগ্রহী।’
অনেকের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ফাইরার বলেছেন, স্পটের মতো আধুনিক প্রযুক্তি চাকরি কারো চাকরি খাবে না। বরং কর্মীদের কাজ অনেক সহজ করে দেবে।