
ছবি: সংগৃহীত
এবার নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিপক্ষকে তীব্র ভাষায় গালাগাল করা ট্রাম্পের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩৩ বছর বয়স্ক মামদানির বিরুদ্ধে তিনি আরো বেশি করে সেগুলো করছেন। তিনি তাকে গ্রেফতার করা, বহিষ্কার করার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছেন।
তিনি তার ট্রুথ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি এই কমিউনিস্ট পাগলকে নিউইয়র্ককে ধ্বংস করতে দিতে পারি না। নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি সব শক্তি ব্যবহার করব, সকল কার্ড খেলব।’
তিনি বলেন, “আমি অবশ্যই নিউইয়র্ক সিটিকে রক্ষা করব, একে আবারো ‘হট’ ও ‘গ্রেট’ বানাব, ঠিক যেমন গুড ওআই ইউএসএ বানিয়েছি!”
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়ন লাভে বেশ চমক দেখিয়েছেন মামদানি। ওই পদে নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কোমো জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু মামদানি সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এখন তিনি রিপাবলিকানদের নতুন টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটদের রায় লাভ করার পর থেকেই তার অতীত মন্তব্য, অবস্থান নিয়ে আক্রমণ করে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। তারা তাকে বিপজ্জনক, কমিউনিস্ট, অ্যান্টিসেমিটিক ইত্যাদি হিসেবে অভিহিত করছে।
মামদানি নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোস্যালিস্ট াবি করেন। তিনি নির্বাচিত হলে হবেন নগরীর আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বাম মেয়র। তিনি নগর কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় মুি দোকান খোলার প্রস্তাব করেছেন। বাস ভাড়া ফি, ‘অপেক্ষাকৃত ধনী ও শ্বেতাঙ্গ’ এলাকায় বেশি করে করারোপ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি মৃদুভাষী হলেও প্রচারণার সময় নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগকে কড়া ভাষায় ‘বর্ণবাদী, সমকামীবিরোধী, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি পুরো কারাব্যবস্থা বিলুপ্ত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
তার ফিলিস্তিনমুখী অবস্থান ব্যাপকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি ‘ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন’ পরিভাষাটি প্রত্যাখ্যান করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের টিকে থাকার অধিকারকে সমর্থন করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প ব্যাপকভাবে আক্রমণ শানাচ্ছেন মামদানির বিরুদ্ধে। ফ্লোরিডা এভারগ্ল্যাডেসে একটি নতুন অভিবাসী আটককেন্দ্র সফরকালে ট্রাম্প বলেন, মামদানি যদি নগরীতে গ্রেফতার করতে আইসিই অ্যাজেন্টদের বাধা দেন, তবে ‘আমরা তাকে গ্রেফতার করব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশে কোনো কমিউনিস্টকে দরকার নেই।’
মুসলিম ধর্মাবলম্ব মামদানি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর কয়েক বছর আগে আমেরিকার নাগরিক হন। তিনি নির্বাচিত হলে হবেন নগরীর প্রথম মুসলিম এবং ভারতীয় আমেরিকান মেয়র।
০০০০