ছবি: সংগৃহীত
একি অরাজকতা, একজন নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতন করা হচ্ছে আর চারিদিকে দাঁড়িয়ে অসভ্য পঙ্গপালেরা ছবি নিচ্ছে! কিরকম বর্বর চিত্র সহাস্য বদনে প্রত্যক্ষ করি আমরা। ওই নারী আমার মা বোন কন্যা হলে, তাকে রক্ষা না করে এমন নির্লজ্জভাবে ফটোশুট করতে পারতাম! তার মানে নিজের গায়ে আগুন না লাগা পর্যন্ত আমরা রুখে দাঁড়াবো না বরং তামাশা দেখবো।
নষ্ট ভ্রষ্ট রাজনীতি আমাদের এমন শত্রু শত্রু খেলায় মত্ত করে ফেলেছে যে, এখন কারো মগজি বোধ বিবেচনা কাজ করছে না। একজন আপনার স্বপক্ষ হলেই সে আপনার হাতে নিরাপদ আর বিপক্ষ হলেই সে অনিরাপদ? এটা কি ভাবছেন না যে আপনিতো অন্য পক্ষেরও বিপক্ষ।
তাহলে অন্যদিন অন্যখানে আপনিওতো বিপক্ষের হাতে আরও নৃশংস ভাবে লাঞ্ছিত হবেন, এটাই সত্য। এই পাল্টাপাল্টি খেলা চলছে তো চলছেই। এই থিওরিতে আপনি মার দিচ্ছেন এবং আবার খাচ্ছেনও। আপনি কিন্তু একই আবর্তে ঘুরছেন, পুতুল নাচের পুতুলের মত। চতুর রাজনীতিবিদরা আমাদের নাচায় আর আপনার আমার ধ্বংস অনিবার্য করে। এসব আর কবে বুঝবো আমরা আহাম্মক জনগণ!
সরে যাচ্ছিনা কেন এদের খপ্পর থেকে। ভাইরে নিজেও বাঁচুন, নিজের পরিবারকেও বাঁচান। মনে রাখবেন আপনি আর আমি যদি শোধরাই ওই মহাজনেরা সেদিন হতে সিজিল হতে বাধ্য হবে। ওরা আমাদের ঘাড়ে পা দিয়ে গাছটারও খায় তলারটাও কুড়ায়। এরা আপনাকে মারবে ও মারাবে। আপনার হাতে আগুন তুলে দিয়ে ওরা আপনাকেই পোড়াবে আর বিচিত্র সব সিল বা ট্যাগ মেরে
চৌদ্দ শিকেও ঢোকাবে।
আসলে কি, ময়লা আবর্জনা খেয়ে খেয়ে মিথ্যা আর হঠকারিতায় আমাদের মগজেই পচন ধরেছে। তাই আমাদের বোধ বুদ্ধি আর কাজ করছে না। আমরা বিবেককে বিসর্জনে পাঠিয়েছি। অন্যের প্রতি কি আচরণ করবো, অন্যকে কি বলবো, সব খেই হারিয়ে ফেলেছি। একজন অন্যজনকে কামড় দিচ্ছে বলে আমরা ওই পশুর সাথে মিশে, যাকে তাকে কামড়ে দিচ্ছি।
এই পশুত্ব থেকে নিজেরা যদি না বের হই, তবে তো আপনার আমার ঔরসে বা গর্ভে নিশ্চিতভাবে আরেক পশুই জন্মাবে! আসুন নিজেকে প্রশ্ন করি পশু হবো আর পশুর জন্ম দিবো, নাকি মানুষ হয়ে মনুষ্য জন্ম দিবো? আর মানুষের বসবাসযোগ্য দেশ, জাতি ও পৃথিবী গড়বো?
লেখক: অভিনেতা।

















