
ছবি: সংগৃহীত
‘না‘ বলতে পারা কিন্তু সহজ না। আমরা অনেকেই অনেক কিছুতে না বলতে পারি না। কিন্তু যদি প্রথমেই না বলা যায় তবে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়। যেমন ধরুন কেউ আপনার কাছে টাকা বা কিছু ধার চাইলো আর আপনি যেকোনো কারণেই হোক তা দিতে অপারগ। তারপরও আপনি না বলতে পারছেন না বা বলতে পারছেন না যে আপনি তা দিতে পারবেন না।
আপনি আমতা আমতা করছেন, অগ্র পশ্চাৎ নিয়ে শতকথা ভাবছেন, ভাবছেন কিভাবে না বলি। এই যে এত কিছু মাথায় নিলেন এতে তো আরও তালগোল পাকিয়ে গেল এবং পরিস্থিতি আরো বেহাল হলো। তার চেয়ে আপনার কাছে যে সহযোগিতা বা সাহায্যের জন্য এলো তাকে না বলে দিন বা বলুন আপনি তাকে এ যাত্রায় সাহায্য করতে পারছেন না। তাতে পরিস্থিতিটা উভয়ের জন্যই সহজ হয়। এক্ষেত্রে সাহায্য প্রার্থীও অন্যত্র চেষ্টা করতে পারবে আর আপনিও নিজের কাছে সৎ বা পরিস্কার থাকতে পারবেন। সত্য মিথ্যা মিলিয়ে এটা-সেটা বুঝও দিতে হলো না।
অনেক সময় আমরা ভাবি, না বলি কি করে? উনি কি ভাববেন? আরে ওনার ভাবনা তো ওনার। অন্যের ভাবনা নিয়ে নিজের জীবন চলে কি করে? যদি কেউ আপনাকে প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবের মতো কঠিন প্রস্তাবও দেয়, আর তাতে যদি আপনার সম্মতি না থাকে, তবে বিষয়টি না কচলে বা পানি ঘোলা না করে সোজা ‘না‘ বলে দিন। যা দু‘পক্ষের জন্যই উত্তম। কারো মন নিয়ে খেলা বা পেঁচাপেঁচি করা একেবারেই অনুচিত।
কোন বন্ধু আপনার কাছে আপনার সবচাইতে প্রিয় কিছু চেয়ে বসল, যা আপনি শেয়ার করতে বা দিতে চান না। কিন্তু না বললে কি হবে? কি ভাববে? কিভাবে না বলবেন, এসব নয় ছয় না ভেবে সোজা না বলুন। তাতেই ফল ভালো হবে।
অর্থাৎ না বলতে পারাটা অনেকাংশেই ফলদায়ক। এই যে আমরা বলি, আমিনা একদম না বলতে পারি না। এই বদ্ধ ধারণা পাল্টাতে হবে। নিজেকেই বলতে হবে যে আমি এখন থেকে যা পারবো না বা যা করবো না- সেসব ক্ষেত্রে না বলব। অযথাই পেরেশানি হওয়ার চাইতে এই এক অক্ষরের ‘না‘ শব্দটা বলে ফেলা, বহুলাংশেই শ্রেয়।
লেখক: অভিনেতা।