
ছবি - নবযুগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সংবাদে নিউইয়র্কে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন’-এর ব্যানারে মিষ্টি বিতরণের পর উল্লাস প্রকাশ করা হলো। ১০ মে, সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেজড়ো হওয়া এ আনন্দ-সমাবেশের সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুল কাদের। অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানও বলেছেন যে, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের স্থান নেই। আর এটি পরম সত্য যে, এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।
আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তর সালে পাকিস্তানি আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর পঁচাত্তরে তিনি বাকশাল কায়েম করলেন। এসবই স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী। কারণ, একাত্তরের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে তিনি হত্যা করলেন বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে। গিয়াস আহমেদ উল্লেখ করেন, আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করলেন, জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করলেন। শুধু তাই নয়, ১/১১-এর সঙ্গেও আঁতাত করেছিলেন। আর এভাবেই শেখ হাসিনাও প্রমাণ করেছেন যে তিনি একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী। গিয়াস বলেন, টানা প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। অতএব স্বাধীনতা বিরোধী এসব কার্যকলাপের কারণে এবং গণহত্যার কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়াটা যৌক্তিক ছিল বলে আমরা মনে করি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মানবতাবিরোধী সংগঠন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন এবং স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী সংগঠন।
এ সময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন রিটা রহমান, আব্দুস সবুর, মনিরুল ইসলাম, দেওয়ান কাউসার, শাহাদৎ হোসেন রাজু, নীরা রাব্বানী, মো. হারুন মিয়া, হাসান সিদ্দিক, নূর আমিন, আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা অর্ন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এখোন সময় হচ্ছে ১৫ বছরের অপশাসনের দায়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমুচিত শাস্তি প্রদানের।